জিনগত পরিবর্তন করোনা সংক্রমণের ঝুঁকি বাড়িয়েছে: গবেষণা

মার্কিন গবেষকদের নতুন এক গবেষণায় বলা হয়েছে, সুনির্দিষ্ট একটি জিনগত পরিবর্তন নতুন করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ক্ষমতা উল্লেখযোগ্য পরিমাণে বাড়াতে পারে। অলাভজনক মার্কিন গবেষণা প্রতিষ্ঠান স্ক্রিপস রিসার্চের বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, ডি৬১৪জি নামের এই জিনগত পরিবর্তন ভাইরাসটিতে আক্রান্ত মানুষের সংখ্যা বৃদ্ধিতে ভূমিকা রেখেছে। গবেষকরা বলেছেন, স্বাস্থ্য ব্যবস্থার পর্যাপ্ত ক্ষমতা থাকার পরেও নিউ ইয়র্ক বা ইতালির মতো বিশ্বের বহু স্থানে আগেভাগে করোনা মহামারি শুরু হয়ে এখনও কেন শেষ হয়নি তা ব্যাখ্যা করতে পারবে নতুন এই গবেষণা। ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদন থেকে এসব তথ্য জানা গেছে।noname

গত বছরের ডিসেম্বরে চীনের উহান শহর থেকে ছড়িয়ে পড়তে শুরু করা নতুন করোনাভাইরাস বিশ্ব জুড়ে মহামারি আকার নিয়েছে। প্রাণীর শরীর থেকে বিবর্তিত হয়ে ভাইরাসটি মানুষের মধ্যে ছড়িয়ে পড়ে দুনিয়া জুড়ে লাখ লাখ মানুষকে আক্রান্ত করেছে। প্রাণ নিয়েছে চার লাখ ৩০ হাজারের বেশি মানুষের। আগের গবেষণায় দেখা গেছে সার্স-কোভ-২ নামের নতুন এই ভাইরাসটি জিনগত বেশকিছু পরিবর্তনের মাধ্যমে মানুষের শরীরে প্রবেশ উপযোগী হয়েছে। এসব পরিবর্তনের মধ্যে সবচেয়ে বেশি উল্লেখযোগ্য হলো ডি৬১৪জি। এই জিনগত পরিবর্তন নিয়ে আগে থেকেই উদ্বেগ রয়েছে।

স্ক্রিপস রিসার্চের নতুন গবেষণায় বলা হয়েছে, ডি৬১৪জি জিনগত পরিবর্তন নতুন করোনাভাইরাসকে স্বতন্ত্র আকার দিয়েছে। যার মাধ্যমে মানুষের কোষে ভাইরাসটির আক্রান্ত করার ক্ষমতা বেড়েছে। আর এটি করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বৃদ্ধিতে ভূমিকা রেখেছে।

গবেষণা কর্মটির সিনিয়র লেখক ইয়েরিয়ান চোয়ে বলেন, ‘জিনগত এই পরিবর্তনের কারণে আক্রান্তের সংখ্যা– কিংবা আক্রান্ত মানুষের ঘনত্ব চার থেকে পাঁচ গুণ বেড়েছে।’ গবেষকরা বলছেন, ছোট আকারের এই জিনগত পরিবর্তনটি আক্রান্ত মানুষের অসুখের তীব্রতা বাড়াতে কিংবা মৃত্যুর হার বাড়াতে ভূমিকা রেখেছে কিনা তা এখনও অজানা। এসব বিষয় নিশ্চিত হতে ল্যাব এক্সপেরিমেন্ট চালানো হচ্ছে বলে জানিয়েছেন মার্কিন গবেষকেরা।