চীনের পাল্টা নিষেধাজ্ঞার আওতায় মার্কিন সিনেটররাও

যুক্তরাষ্ট্রের ১১ জন নাগরিকের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে চীন। এদের মধ্যে দেশটির কয়েকজন সিনেটর এবং উচ্চ পদস্থ কর্মকর্তা রয়েছেন। হংকং ইস্যুতে চীনের ১১ নাগরিকের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা আরোপের পাল্টা পদক্ষেপ হিসেবে সোমবার (১০ আগস্ট) ওই ব্যবস্থার ঘোষণা দেয় বেইজিং। চীনা নিষেধাজ্ঞার আওতায় পড়তে যাওয়াদের মধ্যে রয়েছেন রিপাবলিকান সিনেটর টেড ক্রুজ, মার্কো রুবিও, টম কটোন, জোস হাউলি, প্যাট টুমি এবং দাতব্য প্রতিষ্ঠান হিউম্যান রাইটস ওয়াচের নির্বাহী পরিচালক কেন্নেথ রোথ। তবে ট্রাম্প প্রশাসনের কোনও কর্মকর্তাকে লক্ষ্যবস্তু বানায়নি বেইজিং। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির প্রতিবেদন থেকে এসব তথ্য জানা গেছে।মার্কো রুবিও (বাঁয়ে) এবং টেড ক্রুজ মার্কিন রিপাবলিকান পার্টির পরিচিত মুখ

নতুন নিরাপত্তা আইন প্রণয়নের মাধ্যমে হংকংয়ের বাসিন্দাদের স্বাধীনতা খর্বের অভিযোগে চীনের স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চলটি সংশ্লিষ্ট ১১ জনের ওপর গত শুক্রবার (৭ আগস্ট) নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে যুক্তরাষ্ট্র। প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এক নির্বাহী আদেশে হংকংয়ের চীনপন্থি প্রধান নির্বাহী ক্যারি লাম, নগরীর কয়েকজন সাবেক ও বর্তমান পুলিশ প্রধানসহ ১১ জনের উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেন। এর ফলে যুক্তরাষ্ট্রে ওই ব্যক্তিদের সব স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তি জব্দ হয়েছে এবং যুক্তরাষ্ট্রের কোনো নাগরিক বা কোম্পানি তাদের সঙ্গে কোনো ধরনের লেনদেনও করতে পারবে না।

সোমবার বেইজিংয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ঝাও লিজিয়ান বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রের ওই সব ভুল আচরণের জবাবে  দেশটির বেশ কয়েকজন নাগরিকের ‍উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপের সিদ্ধান্ত নিয়েছে চীন, তারা হংকং সংশ্লিষ্ট ইস্যুতে অতিরিক্ত নাক গলাচ্ছেন।’ তবে এই নিষেধাজ্ঞার আওতা নিয়ে বিস্তারিত আর কিছুই জানাননি তিনি।

গত কয়েক মাস ধরেই বিশ্বের শীর্ষ দুই অর্থনৈতিক শক্তির সম্পর্কের অবনতি হচ্ছে। গত কয়েক বছর ধরে দুই দেশের বাণিজ্য যুদ্ধের পাশাপাশি চীনের হংকং নীতি, উইঘুর মুসলমানদের প্রতি আচরণ এবং করোনা মহামারি নিয়ন্ত্রণের ভূমিকা নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র প্রকাশ্যেই সমালোচনা করে চলেছে। যুক্তরাষ্ট্রে করোনা পরিস্থিতি খারাপ হওয়ার মধ্যেই চীনের দিকে মনোযোগ ঘোরানোর চেষ্ট করেছেন ট্রাম্প। প্রেস ব্রিফিংয়ে করোনাকে ‘চীনা ভাইরাস’ আখ্যাও দিয়েছেন তিনি।