জাতিসংঘে ইরানবিরোধী প্রস্তাব তুলবে যুক্তরাষ্ট্র, হুঁশিয়ারি রুহানির

ইরানের ওপর জাতিসংঘের অস্ত্র নিষেধাজ্ঞার মেয়াদ অনির্দিষ্টকাল পর্যন্ত বাড়ানোর একটি সংশোধিত প্রস্তাব আনতে চাইছে যুক্তরাষ্ট্র। ১৫ সদস্যের নিরাপত্তা পরিষদে এই প্রস্তাবের পক্ষে আরও বেশি সমর্থন পাওয়ার আশা করছে ওয়াশিংটন। তবে মার্কিন প্রস্তাবের জোরালো বিরোধিতা করেছে ভেটো ক্ষমতার অধিকারী রাশিয়া ও চীন। এদিকে মার্কিন প্রচেষ্টা ব্যর্থ হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন ইরানের প্রেসিডেন্ট হাসান রুহানি। তবে নিরাপত্তা পরিষদ এই প্রস্তাব সমর্থন করলে পরিণতির বিষয়ে সতর্ক করেন তিনি। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার প্রতিবেদন থেকে এসব তথ্য জানা গেছে।noname

২০১৫ সালে ইরান ও ছয় বিশ্বশক্তির মধ্যে স্বাক্ষরিত পারমাণবিক চুক্তি অনুমোদন করে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ। ২২৩১ নম্বর প্রস্তাবের মাধ্যমে ওই অনুমোদন দেওয়া হয়। এই প্রস্তাবের একটি ধারায় বলা হয়, ইরান যদি পারমাণবিক চুক্তি পুরোপুরি বাস্তবায়ন করে তাহলে এই চুক্তি স্বাক্ষরের পাঁচ বছর পর তেহরানের ওপর থেকে জাতিসংঘের অস্ত্র নিষেধাজ্ঞা উঠে যাবে। সেই হিসেবে আগামী ১৮ অক্টোবর জাতিসংঘের অস্ত্র নিষেধাজ্ঞার মেয়াদ শেষ হওয়ার কথা রয়েছে।

এমন পরিস্থিতিতে নতুন প্রস্তাবের তুলে ইরানের ওপর নিষেধাজ্ঞার মেয়াদ বাড়ানোর পরিকল্পনা করছে যুক্তরাষ্ট্র। জাতিসংঘে মার্কিন দূত কেলি ক্রাফট বলেছেন, অস্ত্র নিষেধাজ্ঞা সম্প্রসারণের মাধ্যমে ইরানকে স্বাধীনভাবে অত্যাধুনিক অস্ত্র কেনা-বেচা থেকে বিরত রাখা হবে। ইরানকে বিশ্বের এক নম্বর সন্ত্রাসে মদদদাতা দেশ আখ্যা দিয়ে বলেন, বিশ্বের বড় ধরনের ক্ষতি করা থেকে ইরানকে বিরত রাখতেই সংশোধিত প্রস্তাব আনা হচ্ছে।

এদিকে বুধবার মন্ত্রিসভার এক বৈঠকে ইরানের প্রেসিডেন্ট হাসান রুহানি বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রের নতুন এই প্রস্তাব অনুমোদনের চেষ্টা ব্যর্থ হবে বলে আত্মবিশ্বাসী তিনি। রুহানি বলেন, আমরা ব্যাপকভাবে আশা করছি যে আমেরিকা নিজেদের ব্যর্থতা অনুধাবন করবে আর নিজেদের বিচ্ছিন্ন দেখতে পাবে। তবে প্রস্তাব পাশ হয়ে গেলে তা নিরাপত্তা পরিষদের ২২৩১ নম্বর প্রস্তাবের লংঘন হবে বলেও সতর্ক করেন তিনি। এর পরিণামের বিষয়েও হুঁশিয়ার করেন তিনি।