হাসপাতাল ছাড়লেন অমিত শাহ, থাকতে হবে বাড়িতেই

করোনাভাইরাসের সংক্রমণ থেকে মুক্ত হয়েছেন ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও ক্ষমতাসীন বিজেপি’র সাবেক প্রধান অমিত শাহ। শুক্রবার (১৪ আগস্ট) তার করোনা পরীক্ষার ফলাফল নেগেটিভ আসলে দিল্লির কাছে গুরুগাওয়ের একটি প্রাইভেট হাসপাতাল থেকে ছাড়া পান তিনি। তবে ডাক্তারদের পরামর্শে তাকে আরও কিছুদিন বাড়িতেই হোম আইসোলেশনে থাকতে হবে বলে এক টুইট বার্তায় জানিয়েছেন অমিত শাহ নিজেই। সম্প্রচারমাধ্যম এনডিটিভির প্রতিবেদন থেকে এসব তথ্য জানা গেছে।ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ

রাজধানী দিল্লি করোনামুক্ত করতে কেন্দ্রীয় সরকারের উদ্যোগ বাস্তবায়নে নেতৃত্ব দিচ্ছিলেন অমিত শাহ। এর মধ্যে গত ২ আগস্ট তার করোনা পরীক্ষার ফলাফল পজিটিভ আসে। এর একদিন আগেই মন্ত্রিসভার বৈঠকে যোগ দেন তিনি। তার সংস্পর্শে আসায় হোম আইসোলেশনে যান মন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয়। আইসোলেশনে যান পশ্চিমবঙ্গের বিজেপি সাংসদ সৌমিত্র খাঁ-ও।

করোনা আক্রান্ত নিশ্চিত হওয়ার পর দিল্লির অল ইন্ডিয়া ইনস্টিটিউট অব মেডিসিন সায়েন্সেস হাসপাতালে চিকিৎসা নেওয়া শুরু করেন অমিত শাহ। পরে তাকে গুরুগাওয়ের একটি প্রাইভেট হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। প্রায় বারোদিন চিকিৎসার পর করোনাভাইরাসের সংক্রমণ থেকে মুক্ত হলেন তিনি।

শুক্রবার এক টুইট বার্তায় ৫৫ বছর বয়সী অমিত শাহ লিখেছেন, ‘আজ আমার করোনাভাইরাস পরীক্ষার ফলাফল নেগেটিভ এসেছে। ঈশ্বরের প্রতি কৃতজ্ঞতা আর যারা আমার এবং আমার পরিবারের প্রতি শুভকামনা জানিয়েছেন এই মুহূর্তে  তাদের প্রতি আন্তরিক কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। ডাক্তারদের পরামর্শে কিছুদিন হোম আইসোলেশনে থাকবো। আমার করোনা সংক্রমণের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে সহায়তা দেওয়া এবং চিকিৎসা করা মেদান্ত হাসপাতালের সব ডাক্তার এবং প্যারামেডিক কর্মীদেরও আন্তরিক ধন্যবাদ।’

অমিত শাহ ছাড়াও ভারতের কয়েকজন গুরুত্বপূর্ণ রাজনীতিবিদ গত কয়েক দিনের মধ্যে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। এদের মধ্যে রয়েছেন মধ্যপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী শিবরাজ সিং চৌহান, তামিল নাড়ুর গভর্নর বানোয়ারিলাল পুরোহিত এবং কর্নাটকের মুখ্যমন্ত্রী বিএস ইয়েদিয়ুরাপ্পা। দশদিন হাসপাতালে কাটিয়ে এরমধ্যে সুস্থ হয়েছেন শিবরাজ চৌহান।

উল্লেখ্য, করোনাভাইরাসের মহামারিতে মৃতের সংখ্যায় যুক্তরাজ্যকে ছাড়িয়ে গেছে ভারত। বিশ্বের চতুর্থ সর্বোচ্চ মৃতের দেশে পরিণত হয়েছে দেশটি। শুক্রবার ভারতীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে এক হাজার সাত জনের মৃত্যুর মধ্য দিয়ে দেশটিতে মোট ৪৮ হাজার ৪০ জনের মৃত্যু হলো। ফলে এই সংখ্যায় এখন তাদের চেয়ে এগিয়ে থাকা তিনটি দেশ হলো যুক্তরাষ্ট্র, ব্রাজিল ও মেক্সিকো। এদিন নতুন করে ৬৪ হাজার ৫৫৩ জনের করোনা শনাক্ত হওয়ায় ভারতে মোট শনাক্তের সংখ্যা পৌঁছেছে ২৪ লাখ ৬১ হাজার ১৯০ জনে।