যুক্তরাজ্যে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ আসছে, শঙ্কিত জনসন

ব্রিটিশ সরকারের সায়েন্টিফিক অ্যাডভাইজরি গ্রুপ ফর ইমার্জেন্সিজ (স্যেজ) এর সাম্প্রতিক এক প্রতিবেদন অনুযায়ী, যুক্তরাজ্যে প্রতিদিন ২ থকে ৭ শতাংশ হারে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ বাড়ছে। এই গতি আরও দ্রুততর হতে পারে বলে আভাস দিয়েছেন বিজ্ঞানীরা। এমন পরিস্থিতির মুখে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন বলেছেন, করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে প্রবেশ করছে যুক্তরাজ্য। তিনি এ নিয়ে শঙ্কিত।

noname

 স্যেজ-এর প্রতিবেদন অনুযায়ী, যুক্তরাষ্ট্রে এ পর্যন্ত কেবল ৬ শতাংশ মানুষের শরীরে অ্যান্টিবডি তৈরি হয়েছে। আর সংক্রমণের হার (আর-ফিগার) ১.১ থেকে ১.৪। ওপেন ইউনিভার্সিটির ফলিত পরিসংখ্যানের এমিরেটাস প্রফেসর কেভিন ম্যাকনওয়ে সর্বশেষ ‘আর’ ফিগারকে নিঃসন্দেহে উদ্বেগের বলে বর্ণনা করেছেন।

এ অবস্থায় নতুন করে কঠোর বিধিনিষেধ আরোপ করা হলে তাতে এক কোটি ৩৫ লাখ মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হবেন বলে ঘোষণা দিয়েছেন মন্ত্রীরা।

তবে প্রধানমন্ত্রী জনসন বলেছেন, তারা সবকিছু পর্যালোচনার মধ্যে রাখবেন। অক্সফোর্ডের কাছে ভ্যাক্সিন ম্যানুফ্যাকচারিং ইনোভেশন সেন্টারের অবকাঠামো পরিদর্শনকালে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, আমি কয়েক সপ্তাহ ধরে যে কথা বলে আসছি তা নিয়ে কোনো প্রশ্ন নেই। আমরা এখন দেখছি দ্বিতীয় দফার করোনা সংক্রমণের ঢেউ। আমরা এটা দেখতে পাচ্ছি ফ্রান্স, স্পেন এবং ইউরোপজুড়ে। আমি এ নিয়ে ভীতশঙ্কিত। অনিবার্যভাবে আমরাও এই অবস্থার দিকে যাচ্ছি।

এদিকে যুক্তরাজ্যের অফিস ফর ন্যাশনাল স্ট্যাটিসটিকস (ওএনএস) বলেছে, আক্রান্তের সংখ্যা এক সপ্তাহের মধ্যে দ্বিগুন হতে পারে। ইংল্যান্ডে এই সংখ্যা দিনে ৬০০০ হতে পারে।

প্রধানমন্ত্রী জনসন বলেছেন, তিনি দেশে আবার দ্বিতীয় লকডাউন চান না। তবে লোকজনের উচিত সামাজিক দূরত্বের বিধিনিষেধ মেনে চলা।