জার্মানিতে করোনার রেকর্ড সংক্রমণ

জার্মানিতে করোনা সংক্রমণ বাড়ছেই। বৃহস্পতিবার কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, শুধু বুধবারই নতুন করে ৩০ হাজার ৪০০ জনের শরীরে এ ভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। দেশটিতে একদিনে এতো বেশি পরিমাণ সংক্রমণের ঘটনা এটিই প্রথম।noname

বিশেষজ্ঞদের বক্তব্য, আগামী কিছু দিনে সংক্রমণের মাত্রা আরো বাড়তে পারে। বুধবার থেকেই কড়া লকডাউন শুরু হয়েছে জার্মানিতে। তা সত্ত্বেও সংক্রমণ বাড়ায় চিন্তিত প্রশাসন। এরইমধ্যে দ্রুত টিকাদান কর্মসূচি শুরুর উদ্যোগ নিয়েছে প্রশাসন। তবে সেখানেও জটিলতা আছে।

করোনা ভাইরাসের প্রথম প্রথম ঢেউ ভালোভাবেই সামলাতে পেরেছিল জার্মানি। সংক্রমণের হার নিয়ন্ত্রণে রাখা গিয়েছিল। কিন্তু দ্বিতীয় ঢেউয়ে উদ্বিগ্ন হওয়ার যথেষ্ট কারণ আছে। প্রতিদিনই সংক্রমণের রেকর্ড বৃদ্ধি হচ্ছে।

বৃহস্পতিবার স্বাস্থ্য দফতর জানায়, প্রায় ৩০ হাজার সংক্রমণ হয়েছে গত ২৪ ঘণ্টায়। পরে হালনাগাদ পরিসংখ্যানে সংখ্যাটি আরও বাড়ানো হয়। প্রতিটি রাজ্যের কাছ থেকে রিপোর্ট নিয়ে চূড়ান্ত তথ্য আপলোড করে প্রশাসন।

সংক্রমণ বৃদ্ধির হার দেখে দ্রুত টিকাদান কর্মসূচি শুরুর সিদ্ধান্ত নেয় প্রশাসন। সব ঠিক থাকলে ২৭ ডিসেম্বর থেকে এটি চালু করা হবে। কিন্তু সমস্যা হলো, টিকাদান শুরু হলেই পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে, এমনটা বলা যাচ্ছে না।

সমীক্ষা বলছে, মাত্র ৪০ শতাংশ জার্মান টিকা নিতে আগ্রহী। অধিকাংশই দ্রুত টিকা নেওয়ার বিরুদ্ধে। ৪০ শতাংশ টিকাকরণ হলে হার্ড ইমিউনিটি তৈরি হবে না। তার জন্য অন্তত ৬০ থেকে ৭০ শতাংশ মানুষকে টিকা দেওয়া প্রয়োজন।

৪০ শতাংশ জার্মান টিকা নিতে উৎসাহী হলেও এখনই তারা তা নিতে চান না। কিছুদিন অপেক্ষা করে দেখে নিতে চান, টিকায় কোনও সমস্যা আছে কি না। ১০ শতাংশ জার্মান টিকা নিতেই চান না। এই সমীক্ষাই প্রশাসনের উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।

টিকাদান শুরু হলেও জনগণ যদি তা না নেন, তাহলে করোনার সংক্রমণ রোধ করা মুশকিল হবে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ঠাণ্ড যত বাড়বে, করোনা সংক্রমণ বাড়ার আশঙ্কাও তত বাড়তে পারে।

যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডায় অবশ্য এরইমধ্যে টিকাদান শুরু হয়েছে। এই সপ্তাহের শেষেই টিকা নিতে পারেন পরবর্তী প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন।

ইউরোপের বিভিন্ন দেশেও ডিসেম্বরের শেষ সপ্তাহ থেকে টিকাদান শুরু হয়ে যাবে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। বুধবার ইউরোপীয় ইউনিয়নের পার্লামেন্টে সে কথাই জানিয়েছেন ইইউ প্রধান। সূত্র: ডিডব্লিউ।