মূল ভ্যারিয়েন্টের মতোই তীব্রতা থাকতে পারে ওমিক্রনের সাবভ্যারিয়েন্টে: ডব্লিউএইচও

ওমিক্রনের উদীয়মান সাবভ্যারিয়েন্ট (বিএ.২) মূল ভ্যারিয়েন্টের (বিএ.১) চেয়ে তীব্র বলে প্রতীয়মান হয়নি। আর ভ্যাকসিনগুলোও ওমিক্রনের বিভিন্ন স্ট্রেইনের বিরুদ্ধে একই রকমের সুরক্ষা দিয়ে যাচ্ছে। মঙ্গলবার এক অনলাইন ব্রিফিংয়ে এমন মন্তব্য করেছেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার কোভিড-১৯ রেসপন্স টিমের ডক্টর বরিস প্যাভলিন। এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে যুক্তরাজ্যভিত্তিক সংবাদমাধ্যম রয়টার্স।

বিশ্বের প্রথম দেশ হিসেবে ডেনমার্কে সাবভ্যারিয়েন্ট (বিএ.২) মূল ভ্যারিয়েন্টকে (বিএ.১) ছাড়িয়ে গেছে। এ প্রসঙ্গে ডক্টর বরিস প্যাভলিন বলেন, ডেনমার্কের তথ্য অনুযায়ী, দুই স্ট্রেইনে রোগের তীব্রতার কোনও পার্থক্য নেই বলে প্রতীয়মান হচ্ছে। তবে সাবভ্যারিয়েন্টটি (বিএ.২) বিশ্বজুড়ে মূল ভ্যারিয়েন্টের (বিএ.১) জায়গায় প্রতিস্থাপিত হতে পারে।

তিনি বলেন, যেসব দেশে সাবভ্যারিয়েন্টটি মূল স্ট্রেইনকে ছাড়িয়ে যাচ্ছে সেসব স্থানে আমরা প্রত্যাশার চেয়ে বেশি মাত্রায় লোকজনকে হাসপাতালে ভর্তি হতে দেখছি না।

এর আগে ডেনমার্কের এক  গবেষণায় বলা হয়েছে, বিএ.২ সাধারণ বিএ.১-এর চেয়ে অধিক সংক্রমণ ক্ষমতাসম্পন্ন। এটি টিকা দেওয়া ব্যক্তিদের সংক্রামিত করতে আরও বেশি কার্যকর।

ডক্টর বরিস প্যাভলিন বলেন, বিএ.২ সাবভ্যারিয়েন্টটি ইতোমধ্যেই ফিলিপাইন, নেপাল, কাতার, ভারত ও ডেনমার্কে শক্তিশালী হয়ে উঠছে।

তিনি বলেন, ভ্যাকসিন ওমিক্রনসহ গুরুতর সংক্রমণের বিরুদ্ধে ব্যাপক সুরক্ষা দিতে পারে। বিএ.২ দ্রুত বিএ.১-এর জায়গায় প্রতিস্থাপিত হচ্ছে। তবে এর প্রভাব খুব বেশি হওয়ার আশঙ্কা কম, যদিও বিষয়টি নিয়ে আরও তথ্য প্রয়োজন।