পুতিনকে জবাবদিহিতার আওতায় আনার অঙ্গীকার ট্রুডোর

রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন এবং তার সঙ্গীদের জবাবদিহিতার আওতায় আনার অঙ্গীকার করেছেন কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো। ৫ এপ্রিল মঙ্গলবার টুইটারে দেওয়া এক পোস্টে এমন অঙ্গীকার করেন তিনি।

টুইটারে দেওয়া পোস্টে জাস্টিন ট্রুডো বলেন, ‘ইউক্রেনে আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘনের তদন্ত নিশ্চিত করতে কোনও ধরনের প্রচেষ্টা আমরা বাদ দেবো না। আমরা পুতিন এবং তার সমর্থকদের জবাবদিহিতার আওতায় আনতে পিছপা হবো না। আজ আমরা রাশিয়া ও বেলারুশের ওপর আরও জটিল নিষেধাজ্ঞা আরোপের ঘোষণা দিয়েছি।’

বুচা-সহ কিয়েভের আশপাশের শহর, গ্রাম থেকে রুশ বাহিনী প্রত্যাহারের পর শনিবার থেকে বেসামরিক লোকজনের মরদেহ এবং গণকবরের যেসব ছবি, ফুটেজ ইউক্রেনের পক্ষ থেকে দেওয়া হচ্ছে, তা নিয়ে পশ্চিমা দেশগুলোতে ব্যাপক ক্ষোভ তৈরি হয়েছে। রাশিয়ার ওপর আরও জোরালো নিষেধাজ্ঞা এবং ইউক্রেনকে আরও সামরিক সহযোগিতা দেওয়ার কথা বলছেন পশ্চিমা নেতারা।

ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ, যিনি যুদ্ধ শুরুর আগে থেকেই নিয়মিত প্রেসিডেন্ট পুতিনের সঙ্গে যোগাযোগ রেখে চলেছেন, তিনিও বলেছেন রুশ সেনারা যে গণহত্যা চালিয়েছে তার প্রমাণ দেখা যাচ্ছে।

ইউক্রেনে বেসামরিক লোকজন হত্যার সর্বশেষ প্রামাণ্য তথ্যটি পাঠিয়েছেন বিবিসির সংবাদদাতা ইয়োগিতা লিমাই। তিনি বলছেন, কিয়েভের কাছে মোটিঝিন নামে একটি গ্রামে গেলে তাকে মাটির অল্প নিচে চাপা দেওয়া চারটি মৃতদেহ দেখানো হয় যাদের তিন জনই একই পরিবারের। মৃত ওই তিন জন হচ্ছেন গ্রামের প্রশাসনিক প্রধান ওহলা সোনেনকো (জন্ম ১৯৭১ সাল), তার স্বামী ইগর যিনি বয়সে স্ত্রীর চেয়ে পাঁচ বছরের বড় এবং তাদের এক ছেলে ওলেক্সান্ডার (জন্ম ১৯৯৬)। ওই তিন জনকে ১০ দিন আগে রুশ সেনারা অপহরণ করেছিল।

ইউক্রেনের সরকার বলছে, বুচা শহরে তারা ২০টি মৃতদেহ পেয়েছে যাদের পরনে ছিল বেসামরিক পোশাক। সোমবার অঞ্চলটিতে সফরে গিয়ে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি বলেছেন, রুশ সেনাদের ‘নৃশংসতার’ যে প্রমাণ দেখা যাচ্ছে তাতে রাশিয়ার সঙ্গে শান্তি প্রক্রিয়া চালিয়ে যাওয়া কঠিন হয়ে পড়বে।