নিহত হিজবুল্লাহ নেতা হাসান নাসরাল্লাহর সম্ভাব্য উত্তরসূরি হাশেম সাফেইদ্দিন অবশ্যই মারা গেছেন বলে দাবি করেছে ইসরায়েল। মঙ্গলবার (২২ অক্টোবর) এক বিবৃতিতে এই তথ্য দিয়েছে দেশটির সেনাবাহিনী। ব্রিটিশ বার্তাসংস্থা রয়টার্স এ খবর দিয়েছে।
সেনাবাহিনী বলেছে, তিন সপ্তাহ আগে বৈরুতের দক্ষিণাঞ্চলীয় শহরতলিতে চালানো বিমান হামলায় প্রাণ হারিয়েছেন সাফেইদ্দিন। ওই হামলার পর ইসরায়েল দাবি করেছিল, নাসরাল্লাহর উত্তরসূরি ‘সম্ভবত’ মারা গেছেন।
ইসরায়েলের দাবির প্রেক্ষাপটে কোনও মন্তব্য করেনি হিজবুল্লাহ।
ইসয়ায়েলি সেনাবাহিনীর প্রধান লেফটেন্যান্ট জেনারেল হেরজি হালেভি বলেছেন, ‘নাসরাল্লাহ, তার উত্তরসূরি ও হিজবুল্লাহর অধিকাংশ শীর্ষ নেতাকে আমরা ঠিকই খুঁজে বের করেছি। ইসরায়েলের নাগরিকদের নিরাপত্তা হুমকির মুখে ফেললে আমরা যে কাউকে প্রতিহত করব।’
হিজবুল্লাহর দীর্ঘদিনের নেতা হাসান নাসরাল্লাহ গত মাসে এক ইসরায়েলি বিমান হামলায় নিহত হন।
মধ্যপ্রাচ্যে ইরানের সবচেয়ে শক্তিশালী প্রক্সি হিজবুল্লাহর সঙ্গে এক বছর ধরে সীমান্ত সংঘাতে জড়িয়ে আছে ইসরায়েল। সম্প্রতি লেবাননে ভয়াবহ আগ্রাসন শুরু করেছে দেশটির সেনাবাহিনী।
গাজায় ইসরায়েলের বিরুদ্ধে যুদ্ধরত ফিলিস্তিনি সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলোকে সমর্থন দিয়ে আসছে হিজবুল্লাহ। তবে সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলিতে ইসরায়েলি বিমান হামলায় তাদের শীর্ষ নেতারা একে একে মারা যাওয়ার কারণে পুরো দলটি এখন বেকায়দা অবস্থায় পড়েছে।
সাফেইদ্দিনকে দলটির সশস্ত্র কার্যক্রম পরিচালনাকারী জিহাদ কাউন্সিলে নিযুক্ত করা হয়েছিল। এছাড়া তিনি আর্থিক ও প্রশাসনিক বিষয় দেখভাল করা নির্বাহী পরিষদের দায়িত্বেও ছিলেন।
ইসরায়েলের সঙ্গে চলমান সংঘাতের এক বছরে হিজবুল্লাহর অন্যতম মুখপাত্র ছিলেন সাফেইদ্দিন। এছাড়া শেষকৃত্যানুষ্ঠানসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ ইভেন্টে নিরাপত্তাঝুঁকির কারণে আড়ালে থাকা নাসরাল্লাহর পক্ষ থেকে অংশ নিতেন তিনি।