অরুণাচলের সীমান্তবর্তী স্থানের চীনা নামকরণ প্রত্যাখ্যান ভারতের

ভারতের অরুণাচল প্রদেশের কিছু অংশে চীনের দেওয়া নাম প্রত্যাখ্যান করেছে দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। বুধবার (১৪ মে) এক বিবৃতিতে মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রনধীর জয়সাওয়াল বলেছেন, হিমালয় অঞ্চলের এই রাজ্য ভারতের অবিচ্ছেদ্য অংশ। ব্রিটিশ বার্তাসংস্থা রয়টার্স এ খবর জানিয়েছে।

চীনা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র লিন জিয়ান নিয়মিত সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন, চীনের সার্বভৌম অঞ্চলের আওতাভুক্ত এলাকায় অরুণাচলের কিছু অংশে নতুন করে নামকরণ করেছে বেইজিং। তাদের দাবি, ঝ্যাংন্যান (অরুণাচলকে এই নামে অভিহিত করে বেইজিং) মূলত দক্ষিণ তিব্বতের অংশ।

তাদের এই দাবি প্রত্যাখ্যান করে ভারত বলেছে, কেবল নামকরণে সৃজনশীলতা দেখিয়ে বাস্তবতা পালটানো যাবে না। অরুণাচল সবসময়ই ভারতের অবিচ্ছেদ্য অংশ ছিল, আছে ও ভবিষ্যতেও থাকবে।

পূর্বেও অরুণাচলে একাধিক স্থানে নতুন নামকরণ করার প্রচেষ্টা করেছে চীন। এই নিয়ে দুই দেশের সম্পর্কে মাঝেমধ্যেই উত্তেজনার সৃষ্টি হয়েছে। বিশেষ করে ২০২০ সালে চীন-ভারত সীমান্তে এক প্রাণঘাতী সংঘর্ষের পর সম্পর্কের অবনতি আরও বাজে দিকে মোড় নেয়।

তবে গত অক্টোবরে দুই দেশের সমঝোতার মাধ্যমে হিমালয়ের পশ্চিমাঞ্চলে প্রায় চার বছর ধরে চলা সামরিক অচলাবস্থার অবসান হয়। এরপর দুপক্ষেরই সেনা পিছু হটে।

গত বছরের এপ্রিলেও অরুণাচলে প্রায় ৩০টি স্থানের নাম বদলের ঘোষণা নেয় চীন। তাদের ওই পদক্ষেপের প্রতিক্রিয়ায় ভারত জানায়, বেইজিংয়ের এসব কর্মকাণ্ড অবান্তর। সেবারও অরুণাচলকে ভারতের অবিচ্ছেদ্য অংশ বলে ঘোষণা করেছিল তারা।

উল্লেখ্য, ভারত ও চীনের মধ্যে প্রায় তিন হাজার ৮০০ কিলোমিটার দীর্ঘ সীমান্ত রয়েছে, যা নিয়ে তাদের মতবিরোধ এখনও শেষ হয়নি। এই সীমান্ত নিয়ে দুদেশ ১৯৬২ সালে এক স্বল্প সময়ের মারাত্মক রক্তক্ষয়ী যুদ্ধে জড়িয়ে পড়ে। এরপর থেকেই দুদেশের মধ্যে ছোটখাটো দ্বন্দ্ব বেধেই আছে। সর্বশেষ ২০২০ সালের সংঘাতে ২০ জন ভারতীয় এবং চারজন চীনা সেনা নিহত হন।