উপসাগরীয় দেশগুলোর পারস্পরিক সহযোগিতাবিষয়ক জোট জিসিসির সম্মেলনে যোগ দিতে বুধবার সৌদি আরব যাচ্ছেন ওবামা। আর তার আগেই এ বন্দি স্থানান্তরের ঘোষণা এলো।
আরও পড়ুন: আবারও দুই ধাপে গুয়ানতানামো কারাগারের বন্দি স্থানান্তরের সিদ্ধান্ত
শনিবার মার্কিন প্রতিরক্ষা দফতর পেন্টাগনের দেওয়া বিবৃতিতে বলা হয়, ‘গুয়ানতানামো বে বন্দিশালা বন্ধে যুক্তরাষ্ট্রের চলমান প্রচেষ্টায় সমর্থন যোগানোর ইচ্ছে ও মানবিকতার জন্য সৌদি সরকারের কাছে আমরা কৃতজ্ঞ।’
স্থানান্তর হওয়া বন্দিদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলেন ৩৭ বছর বয়সী তারেক বিন ওদাহ। ২০০৭ সালে অনশন শুরুর পর থেকে প্রতিদিন সেনাবাহিনী তাকে জোর করে খাইয়ে আসছে। তারেকের আইনজীবীরা জানিয়েছেন, এরইমধ্যে তার ওজন ৩৪ কেজি কমেছে।
প্রেসিডেন্ট হিসেবে সময় ফুরিয়ে এসেছে ওবামার। এই বন্দীশিবির বন্ধ করা ছিল তার অন্যতম নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি। তাই হোয়াইট হাউজ ছাড়ার আগে তিনি গুয়ানতানামো কারাগার বন্ধ করতে চান। মার্কিন সরকার পরিচালিত এই কারাগারটির অবস্থান কিউবায়। এর প্রতিষ্ঠা নাইন ইলেভেন হামলার পরের বছর ২০০২ সালে। কারাগারটি প্রতিষ্ঠার পর যুক্তরাষ্ট্রের চোখে সন্ত্রাসের সঙ্গে জড়িত থাকতে পারেন এমন সন্দেহভাজন ব্যক্তি অথবা যুক্তরাষ্ট্রের প্রতি হুমকি বলে মনে হয় এমন ৭৮০ জনকে সেখানে বন্দি রাখা হয়। আরও পড়ুন: গুয়ানতানামো কারাগার বন্ধের প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়ন করবেন ওবামা
শনিবার নতুন করে এ স্থানান্তরের ঘোষণা দেওয়ার পর বর্তমানে গুয়ানতানামোতে অবস্থানরত বন্দির সংখ্যা দাঁড়ালো ৮০ জনে। এসব বন্দির বেশিরভাগকেই কোনও ধরনের অভিযোগ ও বিচার ছাড়াই এক দশকেরও বেশি সময় ধরে আটকে রাখা হয়েছে। সূত্র: আল জাজিরা
/এফইউ/বিএ/