ইয়েমেন শান্তি আলোচনা স্থগিত

জাতিসংঘ স্বীকৃত ইয়েমেনের সরকার এবং হুথি বিদ্রোহীদের মধ্যে তীব্র মতপার্থক্য থাকায় কুয়েতে শুরু হওয়া ইয়েমেন শান্তি আলোচনা অগ্রগতির মুখ দেখেনি। জাতিসংঘের বিশেষ প্রতিনিধি শান্তি আলোচনা স্থগিতের কথা জানিয়েছেন।

জাতিসংঘের বিশেষ প্রতিনিধি ইসমাইল ওলুদ চেইখ আহমেদ কুয়েত সিটিতে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরাকে বলেন, ‘রবিবারের আলোচনায় এক ঘন্টা যেতে না যেতেই বোঝা গেল তা অগ্রগতির মুখ দেখছে না। দুই পক্ষের মধ্যে প্রচণ্ড মতপার্থক্যের জন্যই আলোচনায় কোনও অগ্রগতি হয়নি। আর তাই ওই শান্তি আলোচনা স্থগিত করতে হলো।’

আরও পড়ুন: ট্রাম্পকে আটকাতে জোটবদ্ধ ক্রুজ-কাসিচ

ইসমাইল ওলুদ চেইখ আহমেদ

তিনি আরও বলেন, ‘হুথি প্রতিনিধিরা পরে জানিয়েছেন, তারা আলোচনায় থাকা – না থাকার বিষয়ে তাদের নেতাদের সঙ্গে আলোচনা করছেন।’

আরও পড়ুন: যুক্তরাজ্যের ‘ব্রেক্সিট’-এর বিপক্ষে ওবামা-হিলারির শক্ত অবস্থান

হুথি এবং প্রেসিডেন্ট হাদি সমর্থিত বাহিনীর মধ্যে ওই শান্তি আলোচনাকে কেন্দ্র করে ১১ এপ্রিল থেকে খুবই ভঙ্গুর এক অস্ত্রবিরতি চলছে। শান্তি আলোচনা স্থগিত হলেও অস্ত্রবিরতি এখনও বাতিল করা হয়নি।

হুথি বিদ্রোহীদের একাংশ

শান্তি আলোচনা এগিয়ে নিতে হুথিদের দাবি, পরবর্তী সরকার গঠনে তাদের বড় অংশীদারিত্ব থাকতে হবে। সেই সঙ্গে হাদি সরকারের সমর্থনে গত বছরের মার্চ থেকে চলা সৌদি নেতৃত্বাধীন জোটের বিমান হামলা বন্ধের দাবি জানিয়েছেন তারা।

আরও পড়ুন: বিমানে কানহাইয়ার গলা চেপে ধরলেন ‘মোদির সমর্থক’

সরকারের পক্ষে বলা হয়েছে, হুথি বিদ্রোহীরা জোরপূর্বক সরকারকে উৎখাত করেছিলেন। আর এজন্য তারাই দায়ী থাকবেন। তাদের অবশ্যই অস্ত্রসমর্পণ করে বড় শহরগুলো থেকে সরে যেতে হবে। এর পরই কেবল শান্তি আলোচনা শুরু হতে পারে।

বিধ্বস্ত ইয়েমেন

সরকারি প্রতিনিধিরা আরও বলেছেন, ‘অস্ত্রবিরতিতে হুথি বিদ্রোহীদের দখলে থাকা শহরগুলোতে যাওয়ার পথ খোলা থাকতে হবে। সেই সঙ্গে বিশ্বাসযোগ্যতা অর্জনের জন্য রাজনৈতিক বন্দি এবং অপহরণ করা ব্যক্তিদের মুক্তি দিতে হবে।’

উল্লেখ্য, গত বছর ইয়েমেনের শিয়া হুথি বিদ্রোহীরা দেশটির রাজধানী সানা সহ উত্তরাঞ্চলের একটা বড় অংশ দখল করে নেয়। তাদের দমনে মার্চ মাস থেকে বিমান হামলা শুরু করে সৌদি নেতৃত্বাধীন জোট। ইয়েমেনে চলমান ওই সংঘাতে ছয় হাজারেরও বেশি মানুষ নিহত হয়েছেন। এর অর্ধেকই বেসামরিক নাগরিক। সূত্র: আল জাজিরা।

/এসএ/