আন্তর্জাতিক আণবিক শক্তি সংস্থাকে (আইএইএ) সতর্ক করেছে ইরান। প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজেশকিয়ান স্পষ্ট করে জানিয়ে দিয়েছেন যে, দেশটির ওপর ‘দ্বিমুখী আচরণ’ অব্যাহত থাকলে পারমাণবিক ইস্যুতে আর কোনও সহযোগিতা সম্ভব নয়। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা এ খবর জানিয়েছে।
বৃহস্পতিবার ইউরোপীয় কাউন্সিলের প্রেসিডেন্ট আন্তোনিও কস্তার সঙ্গে ফোনালাপে ইরানের প্রেসিডেন্ট বলেন, পারমাণবিক বিষয়ে সংস্থার পক্ষপাতমূলক অবস্থান সংশোধন না করলে ইরানের সঙ্গে সহযোগিতা চালিয়ে যাওয়া সম্ভব হবে না।
তিনি আরও বলেন, ইরানের বিরুদ্ধে যে কোনও নতুন আগ্রাসনের জবাবে আরও কঠোর ও নজিরবিহীন প্রতিক্রিয়া দেওয়া হবে।
গত মাসে ইসরায়েল ও যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে ইরানের সামরিক ও পারমাণবিক স্থাপনায় একাধিক বিমান হামলার পর আইএইএ নিন্দা জানাতে ব্যর্থ হয়। এ নিয়ে সংস্থার প্রতি চরম আস্থাহীনতা তৈরি হয়েছে বলে জানিয়েছে তেহরান।
এর মধ্যে গত সপ্তাহে প্রেসিডেন্ট পেজেশকিয়ান একটি আইন সই করেছেন। যার ফলে সংস্থাটির সঙ্গে ইরানের সহযোগিতা আনুষ্ঠানিকভাবে স্থগিত হয়। সংস্থাটি জানায়, তাদের সর্বশেষ পরিদর্শকরাও ইরান ত্যাগ করে এখন ভিয়েনায় সংস্থার প্রধান কার্যালয়ে ফিরে গেছেন।
আইএইএ প্রধান রাফায়েল গ্রোসি বলেন, ইরানের সঙ্গে আলোচনা শীর্ষ অগ্রাধিকার। তবে তিনি স্বীকার করেছেন যে, জুনের হামলার পর থেকে সংস্থার কোনও পরিদর্শক ইরানি স্থাপনায় প্রবেশ করতে পারেননি।
তেহরান অভিযোগ করেছে, হামলার আগের দিন ১২ জুন আইএইএ একটি প্রস্তাবে ইরানকে পারমাণবিক দায়বদ্ধতা ভঙ্গের অভিযোগে অভিযুক্ত করেছিল। যা ইসরায়েল ও যুক্তরাষ্ট্রকে হামলা চালাতে উৎসাহিত করে। এরপরই ইরান সন্দেহ প্রকাশ করে যে, সংস্থাটি পশ্চিমা চাপের সঙ্গে একাত্ম হয়েছে।
ইরান দাবি করেছে, তাদের পারমাণবিক কর্মসূচি শান্তিপূর্ণ উদ্দেশ্যে, অস্ত্র তৈরির উদ্দেশ্যে নয়। তবে এখন তারা আইএইএকে নিরপেক্ষ সংগঠন হিসেবে আর বিবেচনা করছে না।