জাতিসংঘের প্রতিবেদন

এক বছরে মালিতে নিয়ন্ত্রণের এলাকা দ্বিগুণ করলো আইএস

এক বছরেরও কম সময়। এতেই পাশ্চিমা আফ্রিকার দেশ মালিতে নিজেদের নিয়ন্ত্রণের এলাকা দ্বিগুণ করেছে সশস্ত্র জঙ্গি গোষ্ঠী আইএস। নতুন এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে জাতিসংঘের বিশেষজ্ঞরা।

২০১৫ সালে মালিতে তিনটি পক্ষ শান্তি চুক্তিতে স্বাক্ষর করেছিল। একটি সরকার পক্ষ দ্বিতীয়টি সরকারপন্থি মিলিশিয়া এবং দেশটির উত্তর অংশে স্বায়ত্তশাসন চায় এমন গোষ্ঠীগুলির একটি জোট। চুক্তির উদ্দেশ্য ছিল– সংঘাত কবলিত মালিতে শান্তি ফিরিয়ে আনা। কিন্তু কাজের কাজ কিছুই হয়নি।

এ বিষয়ে জাতিসংঘের বিশেষজ্ঞদের প্যানেল শুক্রবার (২৫ আগস্ট) একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। তাতে বলা হয়েছে, যেখানে চুক্তিটি বাস্তবায়ন তো হয়নি বরং অচলাবস্থা তৈরি হয়েছে। বিশেষ করে নিরস্ত্রীকরণ, বিচ্ছিন্নকরণ এবং সশস্ত্র যোদ্ধাদের মূলধারায় ফেরানোটা ছিল অন্যতম লক্ষ্য।

জাতিসংঘ তাদের প্রতিবেদনে জানিয়েছে, এক বছরেরও কম সময়ের বৃহত্তর সাহারায় মালিতে নিজেদের নিয়ন্ত্রণের এলাকা প্রায় দ্বিগুণ করেছে জঙ্গি গোষ্ঠী আইএস। পূর্ব মেনাকা এবং উত্তর গাওতে আনসোঙ্গোর বড় অংশে, গ্রামীণ এলাকায় গোষ্ঠীটি আধিপত্য বিস্তার করছে।

 

 

সংস্থাটির বিশেষজ্ঞদের মতে, সম্প্রতি মালিতে শান্তি চুক্তি নড়বড়ের পেছনে আইএসের দীর্ঘস্থীয় সহিংসতা বন্ধ না হওয়া।

পরিস্থিতি উন্নয়নে গত কয়েক দশক মালিতে কাজ করে গেছে জাতিসংঘের শান্তিরক্ষী বাহিনী। এতে ছিল বাংলাদেশের সদস্যরাও। কিন্তু পরিস্থিতি আরও অবনতি ও জঙ্গিগোষ্ঠীগুলোর ক্রমাগত হামলায় গত জুনে মালি থেকে শান্তিরক্ষী বাহিনীদের সরিয়ে নেওয়ার ঘোষণা দেয় জাতিসংঘ। দেশটিতে থাকা ১৫ হাজার শান্তিরক্ষী দ্রুত মালি ত্যাগ করছে বলেও জানা গেছে। তাতে দেশটির সাধারণ মানুষের মাঝে বাড়ছে উদ্বেগ। 

জাতিসংঘের প্যানেল জানিয়েছে, সশস্ত্রগোষ্ঠীগুলোর ২০১৫ সালের সম্পাদিত চুক্তি জাতিংঘের মধ্যস্থতা ছাড়া ভেস্তে যাওয়ার শঙ্কা রয়েছে। ফলে উত্তরাঞ্চলে আরও একটি বড় ধরনের বিদ্রোহ দেখা যেতে পারে। সূত্র: আল জাজিরা