নাইজারে অভ্যুত্থান

ফ্রান্সের ঘাঁটির সামনে লাখো মানুষ, সেনাদের নাইজার ছাড়ার আহ্বান

নাইজারের রাজধানী নিয়ামিতে অবস্থিত ফ্রান্সের একটি সামরিক ঘাঁটির সামনে জড়ো হয়েছেন লাখ লাখ জান্তা সমর্থক। রাষ্ট্রদূত এবং ফরাসি সেনাদের অবলিম্বে নাইজার ছাড়ার দাবি জানিয়ে বিক্ষোভ করেছেন তারা।

এক সপ্তাহ আগে রাষ্ট্রদূত সিলভাইন ইত্তে’কে দেশ ছাড়তে ৪৮ ঘণ্টার সময় বেঁধে দেয় আন্দোলকারীরা। কিন্তু সময়সীমা পেরিয়ে গেলেও নিয়ামিতে অবস্থান করছেন তিনি। এ বিষয়টিকে সাধুবাদ জানিয়েছেন ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ।

রাজধানী নিয়মিতে থাকা আল জাজিরার প্রতিবেদক আহমেদ ইদ্রিস বলেছেন, রাষ্ট্রদূত এখনও দেশত্যাগ না করায় হতাশা ব্যক্ত করেছেন আন্দোলনকারীরা।

নিরাপত্তাকর্মীরা জানিয়েছেন, শনিবার স্থানীয় সময় বিকাল ৩টার দিকে বিক্ষোভ শুরু হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু সকাল ১০টার দিকেই তারা জড়ো হয়। অন্যান্য সময়ের চেয়ে এদিনের আন্দোলনকে কিছুটা শান্ত বলছেন আল জাজিরার প্রতিবেদক। তবে কেউ কেউ নিরাপত্তা বেষ্টনী উপেক্ষা করে বিমানঘাঁটির ভেতরে প্রবেশের চেষ্টা করেছেন।

এই বিমান ঘাঁটিতে প্রায় দেড় হাজারের মতো ফরাসি সেনা রয়েছে। ভেতরে অবৈধভাবে প্রবেশের বিরুদ্ধে আগেভাগেই হুঁশিয়ারি দিয়েছে সেনারা। প্রয়োজনে শক্ত হাতে প্রতিরোধ করা হবে বলেও জানিয়েছে

গত ২৬ জুলাই অভ্যুত্থানে নাইজারের প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ বাজুমকে ক্ষমতাচ্যুত করে সামরিক বাহিনী। প্রতিবাদে পশ্চিম আফ্রিকান দেশগুলোর অর্থনৈতিক জোট ইকোওয়াস নাইজারের ওপর নিষেধাজ্ঞা দেয়। শুধু তাই নয়, বেসামরিক শাসন পুনরুদ্ধারে ব্যর্থ হলে সামরিক হস্তক্ষেপের হুমকি পর্যন্ত দিয়েছে জোটটি।

সাহারা মরুভূমির প্রান্তে অবস্থিত বিস্তীর্ণ দেশ নাইজার। ফ্রান্সের কাছ থকে ১৯৬০ সালে স্বাধীন হয় দেশটি। স্বাধীনতার পর বেশ কয়েকটি অভ্যুত্থানের কারণে দেশটির রাজনীতিতে অস্থিতিশীল অবস্থা বিরাজ করেছিল। নতুন করে সামরিক অভ্যুত্থানে অনিশ্চিয়তার মুখে দেশটি। সূত্র: আল জাজিরা