যুক্তরাষ্ট্রের হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয় প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসনের বিরুদ্ধে মামলা করেছে। ট্রাম্প সরকারের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, বিশ্ববিদ্যালয়টির বিদেশি শিক্ষার্থী ভর্তি অনুমোদন বাতিল করা হলে তা মারাত্মক সাংবিধানিক লঙ্ঘন বলে অভিযোগ করেছে হার্ভার্ড। ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স এ খবর জানিয়েছে।
শুক্রবার বোস্টনের ফেডারেল কোর্টে দায়ের করা মামলায় হার্ভার্ড বলেছে, সরকার একটি কলমের আঁচড়ে হার্ভার্ডের এক-চতুর্থাংশ শিক্ষার্থী—যারা আন্তর্জাতিক ভিসাধারী—তাদের মুছে ফেলতে চেয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয়টি আরও জানায়, এই সিদ্ধান্ত অবিলম্বে কার্যকর হলে ৭ হাজারের বেশি আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থী এবং অসংখ্য শিক্ষা কার্যক্রম, গবেষণা ল্যাব ও কোর্সে চরম অচলাবস্থা তৈরি হবে।
হার্ভার্ড বলেছে, এটি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন, পাঠক্রম ও শিক্ষকদের মতাদর্শ নিয়ন্ত্রণের সরকারি প্রচেষ্টার বিরুদ্ধে আমাদের প্রথম সংশোধনী অধিকার প্রয়োগের জবাবে সরকারের প্রতিশোধমূলক পদক্ষেপ।
যুক্তরাষ্ট্রের স্বরাষ্ট্র নিরাপত্তামন্ত্রী ক্রিস্টি নোম বৃহস্পতিবার ঘোষণা দেন, ২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষ থেকে হার্ভার্ডের স্টুডেন্ট অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ ভিজিটর প্রোগ্রাম-এর স্বীকৃতি বাতিল করা হবে।
তিনি অভিযোগ করেন, হার্ভার্ড সহিংসতা, ইহুদি-বিদ্বেষ এবং চীনা কমিউনিস্ট পার্টির সঙ্গে সমন্বিত কার্যক্রমে লিপ্ত।
বিশ্ববিদ্যালয়টির তথ্য অনুযায়ী, চলতি শিক্ষাবর্ষে প্রায় ৬ হাজার ৮০০ আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থী হার্ভার্ডে অধ্যয়ন করছে, যা মোট শিক্ষার্থীর ২৭ শতাংশ।
হার্ভার্ড বলেছে, এই বাতিলাদেশ কার্যকর হলে আমাদের হাজারো শিক্ষার্থীকে ভর্তিচ্যুত করতে হবে, যা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রকৃত কাঠামো ও মানচিত্রকেই ভেঙে দেবে।
প্রায় ৩৮৯ বছরের পুরোনো এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটি এক বিবৃতিতে বলেছে, আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের ছাড়া হার্ভার্ড আর হার্ভার্ড থাকে না।