যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছেন, ব্রিকস জোটের আমেরিকার স্বার্থের পরিপন্থি নীতির পক্ষে দাঁড়ানো দেশগুলোর ওপর ওপর অতিরিক্ত ১০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করা হবে। এ সিদ্ধান্ত থেকে কোনও দেশই ছাড় পাবে না বলেও তিনি স্পষ্ট করেছেন। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি এ খবর জানিয়েছে।
রিও ডি জেনেইরোতে অনুষ্ঠিত দুই দিনের ব্রিকস সম্মেলনে রবিবার জোটের অর্থমন্ত্রীদের যৌথ বিবৃতিতে যুক্তরাষ্ট্রের শুল্কনীতিকে ‘বিশ্ব অর্থনীতির জন্য হুমকি’ বলে উল্লেখ করা হয়। এতে বলা হয়েছে, এমন পদক্ষেপ আন্তর্জাতিক বাণিজ্য ও বিনিয়োগ কার্যক্রমে অনিশ্চয়তা তৈরি করছে।
গত বছর ব্রিকস দেশগুলো নিজেদের মুদ্রা চালুর ঘোষণা দিলে ট্রাম্প তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় তাদের ওপর ১০০ শতাংশ শুল্ক আরোপের হুমকি দিয়েছিলেন। এবার ব্রিকসের সমালোচনার জবাবে আরও কঠোর শুল্কনীতির হুঁশিয়ারি দিলেন ট্রাম্প।
রবিবার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দেওয়া এক পোস্টে ট্রাম্প বলেন, যেসব দেশ যুক্তরাষ্ট্রবিরোধী ব্রিকস নীতির সঙ্গে নিজেকে যুক্ত করবে, তাদের ওপর অতিরিক্ত ১০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করা হবে। এর কোনও ব্যতিক্রম থাকবে না।
ব্রিকসের সদস্য দেশগুলোর মধ্যে রয়েছে চীন, রাশিয়া, ভারত, দক্ষিণ আফ্রিকা ও ব্রাজিল। সম্প্রতি এতে যোগ দিয়েছে মিসর, ইথিওপিয়া, ইন্দোনেশিয়া, ইরান, সৌদি আরব ও সংযুক্ত আরব আমিরাত। এ দেশগুলো বিশ্বের মোট জনসংখ্যার অর্ধেকেরও বেশির প্রতিনিধিত্ব করে।
ট্রাম্প প্রশাসনের বাণিজ্য কর্মকর্তারা জানান, যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাণিজ্য চুক্তিতে সম্মত হওয়ার জন্য ৯ জুলাই পর্যন্ত সময়সীমা নির্ধারণ করা হলেও এখন তা পিছিয়ে ১ আগস্ট কার্যকর করা হচ্ছে। তবে এখন পর্যন্ত যুক্তরাজ্য ও ভিয়েতনামের সঙ্গে কেবল বাণিজ্য চুক্তি হয়েছে। যদিও যুক্তরাজ্যের স্টিল রফতানির শুল্ক ইস্যুতে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত আসেনি।
বাণিজ্য সচিব হাওয়ার্ড লুটনিক বলেন, ১ আগস্ট থেকেই নতুন শুল্ক কার্যকর হবে। ট্রাম্পও বলেছেন, সোমবার ১০ থেকে ১৫টি দেশকে শুল্ক সংক্রান্ত চিঠি পাঠানো হবে।
চলতি বছরের জানুয়ারিতে দ্বিতীয় দফায় প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার পর ট্রাম্প একের পর এক আমদানি পণ্যের ওপর শুল্ক আরোপ করছেন। তার দাবি, এতে যুক্তরাষ্ট্রের শিল্প-কারখানা সুরক্ষিত থাকবে এবং কর্মসংস্থান বাড়বে।