থাই রাজাকে অপমানের অভিযোগে বিক্ষোভকারীদের বিরুদ্ধে মামলা

থাইল্যান্ডের রাজাকে অপমানের দায়ে দেশটির গণতন্ত্রপন্থী ১৫ জন অ্যাক্টিভিস্টের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। দেশটির ভয়াবহ রাজদ্রোহিতা আইনে এই মামলা দায়ের করা হয়। বড় ধরনের একটি বিক্ষোভের আগে অ্যাক্টিভিস্টরা রাজকীয় সম্পদ হস্তান্তরের জন্য রাজার প্রতি আহ্বান জানিয়েছিলেন। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ান এখবর জানিয়েছে।

1442

থাইল্যান্ডের প্রভাবশালী রাজপরিবার বিশ্বের অন্যতম কঠোর মানহানী আইন দ্বারা সুরক্ষিত। এই আইনে রাজা, রানি ও তাদের উত্তরাধিকার কিংবা প্রতিনিধিকে কোনও ধরনের মানহানি, অপমান ও হুমকি দিলে প্রতিটি অভিযোগে ১৫ বছরের কারাদণ্ডের বিধান রয়েছে।

আইনের আওতায় যে কেউ যে কারও বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করতে পারবে। মানবাধিকার সংগঠনগুলো আইনটি কালাকানুন হিসেবে আখ্যায়িত করে আসছে। চলমান বিক্ষোভেও এই আইনটি বাতিলসহ বেশ কিছু সংস্কারের দাবি জানিয়ে আসছেন প্রতিবাদকারীরা।

বুধবার সন্ধ্যায় পরিত চিওয়ারাক নিশ্চিত করেছেন রাজদ্রোহীতা মামলায় তিনি সমন পেয়েছেন।  টুইটারে তিনি লিখেছেন, যারা ফৌজদারি দণ্ডবিধির এই ধারার অপব্যবহার করতে চাইছে তাদেরকে বলছি, আমি ভীত নই।

তিনি আরও লিখেছেন, ভাঙন শুরু হয়েছে। এখন আর কোনও কিছুই আমাদের আটকাতে পারবে না।

থাই পুলিশের একটি সূত্র ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে জানিয়েছে, বিক্ষোভে নেতৃত্বদানকারী মোট ১৫ জনের বিরুদ্ধে রাজার আচরণ, জীবনযাপন ও ব্যয় নিয়ে মন্তব্যের জন্য সমন জারি করা হয়েছে।

বুধবার সকালে একটি সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ এই বিষয়ে বিস্তারিত কিছুই নিশ্চিত করেনি।

গত কয়েক মাস ধরে তরুণদের নেতৃত্বে শুরু হওয়া বিক্ষোভ ঠেকাতে হিমশিম খাচ্ছে থাই সরকার। বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস থেকে সূত্রপাত হওয়া বিক্ষোভটি ছড়িয়ে পড়ে সারা দেশে। বিক্ষোভকারী থাই রাজব্যবস্থার বড় ধরনের সংস্কার দাবি করে আসছে।