কাবুল বিমানবন্দর নিয়ে বাইডেনের সঙ্গে বসছেন এরদোয়ান

কাবুল বিমানবন্দর নিয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সঙ্গে বৈঠকে বসছেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়্যেব এরদোয়ান। এছাড়া রাশিয়ার তৈরি এস-৪০০ ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাসহ দ্বিপাক্ষিক ও আন্তর্জাতিক নানা বিষয়ে কথা বলবেন দুই নেতা। রবিবার এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা।

আফগানিস্তান ইস্যুকে কেন্দ্র করে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সম্পর্কোন্নয়নের জন্য এই মুহূর্তে এমনিতেই সুবিধাজনক অবস্থানে রয়েছেন এরদোয়ান। কাবুল বিমানবন্দর পুনরায় চালু করতে ওয়াশিংটন ও দোহার সঙ্গে কাজ করছে আঙ্কারা।

ক্ষমতায় আসার আগেই এক সাক্ষাৎকারে এরদোয়ানকে একনায়ক হিসেবে আখ্যায়িত করেছিলেন বাইডেন। তুরস্কে এরদোয়ান বিরোধীদের সমর্থন দেওয়ার কথাও বলেছিলেন তিনি। এ বছরের গোড়ার দিকে তুরস্ককে যুক্তরাষ্ট্রের ‌‘তথাকথিত’ অংশীদার হিসেবে আখ্যায়িত করেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন। মূলত আঙ্কারার এস-৪০০ ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা কেনায় ক্ষুব্ধ হয়ে এমন মন্তব্য করেন তিনি। তবে আফগানিস্তানে তালেবানের উত্থানের ইঙ্গিত মিলতেই মার্কিন কর্মকর্তাদের মন্তব্য বদলে যেতে শুরু করে।

১৫ আগস্ট তালেবান কাবুল দখলের পর তুরস্ককে ‌গুরুত্বপূর্ণ ন্যাটো মিত্র এবং যুক্তরাষ্ট্রের তাৎপর্যপূর্ণ অংশীদার হিসেবে আখ্যায়িত করেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী। এর আগে গত জুনে ন্যাটো সম্মেলনে কাবুল বিমানবন্দর নিয়ে সরাসরি এরদোয়ানের সঙ্গে কথা বলেন বাইডেন। তুরস্ককে এয়ারপোর্টটির নিরাপত্তার দায়িত্ব নেওয়ার অনুরোধ জানান তিনি।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট থেকে শুরু করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী—ওয়াশিংটনের শীর্ষ পর্যায়ে আঙ্কারার প্রতি সুরের এমন ইতিবাচক পরিবর্তনের মধ্যেই রবিবার জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনে যোগ দিতে যুক্তরাষ্ট্র সফরে যান এরদোয়ান। এ সফরেই বাইডেনের সঙ্গে সাক্ষাতের কথা রয়েছে তার।