ক্ষেপণাস্ত্রের আঘাতে দক্ষিণ লেবাননে রয়টার্সের একজন সাংবাদিক নিহত হয়েছেন। শুক্রবার (১৩ অক্টোবর) ওই হামলায় আরও ছয়জন সাংবাদিক আহত হন। এ ঘটনায় রয়টার্স ইসরায়েলকে সরাসরি দায়ী করেনি। তারা বলেছে, ইসরায়েলের দিক থেকে আসা মিসাইলের আঘাতে নিহত হয়েছেন তিনি। তবে নিহতের মা'র অভিযোগ, ইসরায়েলের হামলাই নিহত হয়েছেন তার ছেলে।
রয়টার্স দুঃখ প্রকাশ করে বিবৃতিতে আরও বলেছে, আমাদের সাংবাদিক ইসাম আবদুল্লাহ নিহত হয়েছেন। তার কাজের সময় ক্যামেরাটি পাহাড়ের দিকে তাক করা ছিল। বিকট বিস্ফোরণে ক্যামেরাটি কেঁপে উঠেছিল। আর চারদিকে ধোঁয়া ঘিরে ফেলেছিল। এই ঘটনায় আহত হয়েছেন রয়টার্সের আরও দুই সাংবাদিক থায়ের আল-সুদানী ও মাহের নাজেহ।
ঘটনাস্থলে আল জাজিরা ও বার্তা সংস্থা এএফপির সাংবাদিকসহ বেশ কয়েকজন সাংবাদিক ছিলেন। তারা ইসরায়েল সীমান্তের কাছাকাছি আলমা আল-শাবে কাজ করছিল। সেখানে আল জাজিরার দুইজন সাংবাদিকও আহত হয়েছেন। এর নিন্দা জানিয়েছে আল জাজিরা।
কিন্তু ইসরায়েলের জাতিসংঘের দূত গিলাদ এরদান বলেছেন, আমরা কখনোই সাংবাদিককে আঘাত বা হত্যা করতে চাই না। এর সঠিক তদন্ত করা হবে।
এ ঘটনার প্রতিক্রিয়ায় জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস বলেছেন, চলমান ফিলিস্তিন–ইসরায়েল সংঘাত লেবাবনেও ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে।
সংঘাতের আজ অষ্টম দিনে ইসরায়েলে নিহতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ৩০০। অপর দিকে ফিলিস্তিনির অন্তত ১ হাজার ৯০০ জন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন ৬ হাজার ৩৮৮ জন।