পাকিস্তানের জাতীয় পরিষদ নির্বাচনে দলীয় প্রতীক ব্যাট ছাড়াই শতাধিক আসনে জিতেছেন পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই) সমর্থিত প্রার্থীরা। শনিবার (১০ ফেব্রুয়ারি) পাকিস্তানের নির্বাচন কমিশনের ঘোষিত ফল অনুযায়ী, ব্যাট ছাড়াই ‘সেঞ্চুরি’ করেছেন তারা। পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যম দ্য এক্সপ্রেস ট্রিবিউন এ খবর জানিয়েছে।
বৃহস্পতিবার নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারেনি পিটিআই। বিতর্কিত আন্তদলীয় নির্বাচনের কারণে দলের ব্যাট প্রতীক ব্যবহার করতে দেয়নি নির্বাচন কমিশন। তাই দলীয় ব্যানারে নির্বাচনে যাওয়ার সুযোগ ছিল না পিটিআই রাজনীতিবিদদের। সে কারণে স্বতন্ত্র হিসেবে বিভিন্ন প্রতীকে প্রার্থী হয়েছেন তারা।
প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, জাতীয় পরিষদের ২৬৬ আসনের মধ্যে ইসিপি ২৬৪ সংসদীয় আসনের ফল ঘোষণা করেছে। সেখানে ১০১ আসনে জিতেছেন পিটিআই-সমর্থিত প্রার্থীরা। পাকিস্তান মুসলিম লীগ-নওয়াজ (পিএমএল-এন) ৭৫টি আসন, পাকিস্তান পিপলস পার্টি (পিপিপি) ৫৪টি, মুত্তাহিদা কওমি মুভমেন্ট-পাকিস্তান (এমকিউএম-পি) ১৭টি আসন পেয়েছে। এ ছাড়া অন্যান্য দল পেয়েছে ১৭টি আসন।
পাকিস্তান জাতীয় পরিষদের ২৬৬ আসনের মধ্যে ২৬৫ আসনে ভোট হয়েছে। আর একটি আসনের ফল স্থগিত থাকার ঘোষণা দেয় নির্বাচন কমিশন। ফলে ২৬৪টি আসনের ফল ঘোষণা করা হয়েছে। সরকার গঠনে প্রয়োজন হবে ১৩৪ আসন।
পাকিস্তান জাতীয় পরিষদের মোট আসন সংখ্যা ৩৩৬। এর মধ্যে ২৬৬ আসনে সরাসরি ভোট হয়। এ ছাড়া বাকি ৭০টি আসন সংরক্ষিত। এসব আসনের মধ্যে ৬০টি নারীদের ও ১০টি সংখ্যালঘুদের।
ফ্রি অ্যান্ড ফেয়ার ইলেকশন নেটওয়ার্ক (ফাফেন)-এর এক প্রতিবেদন অনুসারে, নির্বাচনে প্রায় ৬ কোটি ভোটার ভোট দিয়েছেন। নির্বাচনে ১১ লাখের বেশি কর্মকর্তা দায়িত্ব পালন করেছেন।