মিয়ানমারের মিলিশিয়া গোষ্ঠীর ওপর মার্কিন নিষেধাজ্ঞা

মিয়ানমারের একটি জাতিগত সশস্ত্র গোষ্ঠী কারেন ন্যাশনাল আর্মির (কেএনএ) নেতা সাউ চিট থু, তার দুই পুত্র এবং মিলিশিয়া গোষ্ঠীটির ওপর সাইবার প্রতারণা, মানবপাচার ও সীমান্ত পারাপারের চোরাচালানের অভিযোগে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে যুক্তরাষ্ট্র। সোমবার এক বিবৃতিতে যুক্তরাষ্ট্রের অর্থ মন্ত্রণালয় জানায়, এই নিষেধাজ্ঞার ফলে যুক্তরাষ্ট্রে সাউ চিট থু, তার দুই ছেলে সাউ হটু এ মউ ও সাউ চিট চিট এবং কেএনএ-এর যে কোনও সম্পদ জব্দ করা হবে। একই সঙ্গে মার্কিন নাগরিকদের সঙ্গে তাদের ব্যবসা-বাণিজ্যও নিষিদ্ধ থাকবে। ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স এ খবর জানিয়েছে।

সাউ চিট থু মিয়ানমার-থাইল্যান্ড সীমান্তবর্তী বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল শ্বে কক্কোতে কেএনএ পরিচালিত প্রতারণা চক্রের মূলহোতা বলে বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়। সেখানে হাজার হাজার মানুষকে জোরপূর্বক আটক রেখে সাইবার প্রতারণায় কাজে লাগানো হয়।

যুক্তরাষ্ট্রের উপ-অর্থ সচিব মাইকেল ফকেন্ডার বলেন, কারেন ন্যাশনাল আর্মির মতো প্রতারণা চক্রগুলো অপরাধীদের জন্য বিলিয়ন ডলারের উপার্জনের উৎস হলেও সাধারণ মানুষের সঞ্চিত অর্থ ও নিরাপত্তা ধ্বংস করে দিচ্ছে।

কেএনএ-র মুখপাত্র নাইং মাউং জ বলেন, এই নিষেধাজ্ঞার খবরে সাউ চিট থু দুঃখ পেয়েছেন, তবে এর কোনও প্রভাব আমাদের ওপর পড়বে না। আমরা প্রতারণা কেন্দ্র বন্ধ এবং ভুক্তভোগীদের নিজ দেশে ফেরত পাঠাতে কাজ করছি।

২০২২ সালের নভেম্বরে মিয়ানমারের জান্তা প্রধান মিন অং হ্লাইং সাউ চিট থুকে ‘বিশেষ অবদানের জন্য’ সম্মাননা দেন। এই সম্মাননার মাধ্যমে তার সামরিক জান্তার সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক প্রকাশ পেয়েছে।

মিয়ানমারে ২০২১ সালে গণতান্ত্রিক সরকারকে উৎখাতের পর থেকে জান্তার ওপর একাধিকবার নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। তবে ট্রাম্প প্রশাসনের সময় এটি মিয়ানমার-সংশ্লিষ্ট প্রথম নিষেধাজ্ঞা।

মার্কিন অর্থ মন্ত্রণালয়ের ফিনান্সিয়াল ক্রাইমস এনফোর্সমেন্ট নেটওয়ার্ক গত সপ্তাহে কম্বোডিয়ার হুইওয়ান গ্রুপকে যুক্তরাষ্ট্রের আর্থিক ব্যবস্থায় নিষিদ্ধ করার প্রস্তাব দেয়। প্রতিষ্ঠানটি অনলাইন প্রতারণা ও সাইবার জালিয়াতির অর্থ পাচারে জড়িত বলে অভিযোগ।