ভারত-পাকিস্তান উত্তেজনার মধ্যে দেশজুড়ে মক ড্রিলের আয়োজন করলো মোদি সরকার। বাজবে সাইরেন। নিভে যাবে সব আলো। যুদ্ধ শুরু হলে কীভাবে নিজেদের প্রতিরক্ষা করবে জনগণ? সেই বিষয়েই মানুষকে সতর্ক করতে বুধবার অর্থাৎ ৭ মে দেশের প্রায় প্রতিটি রাজ্যে মহড়ার নির্দেশ দিলো ভারতের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
বুধবার রাজস্থান, গুজরাট, পঞ্জাব এবং জম্মু-কাশ্মীরের সীমানা এলাকায় মহড়া বা মক ড্রিলে বিশেষ জোর দেবে অমিত শাহের মন্ত্রণালয়। মহড়া চলবে পশ্চিমবঙ্গের একাধিক এলাকাতেও। বিশেষ নজর থাকবে উত্তরবঙ্গে।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের প্রকাশিত তালিকা অনুযায়ী, পশ্চিমবঙ্গে ৩০ এলাকায় চলবে এই মহড়া। ব্ল্যাকআউট হলে কী করণীয়, সেই নিয়ে মক ড্রিল চলবে কলকাতাতেও। তবে সব থেকে বেশি মক ড্রিল চলবে উত্তরবঙ্গে।
উত্তরবঙ্গের কোচবিহার, দার্জিলিং, জলপাইগুড়ি, মালদা, শিলিগুড়ি, আলিপুরদুয়ার, বালুরঘাট, ফারাক্কায় হবে মক ড্রিল। এছাড়া, গ্রেটার কলকাতা, দুর্গাপুর, হলদিয়া, হাসিমারা, খড়্গপুর, আসানসোল, রায়গঞ্জ, ইসলামপুর, দিনহাটাসহ হাওড়া, হুগলির একাধিক এলাকায় চলবে মহড়া।
দেশের মোট ২৮৮টি এলাকায় মক ড্রিল করাবে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। যাতে যোগ দেবে ন্যাশনাল ক্যাডেট কোরও। বাজবে এয়ার সাইরেন। স্কুল, অফিস ও কমিউনিটি সেন্টারে হবে যুদ্ধকালীন ওয়ার্কশপ। হামলা হলে কাছাকাছি আশ্রয়স্থল কীভাবে খুঁজে বের করতে হবে, তা শেখানো হবে। প্রাথমিক চিকিৎসা করাও শেখানো হবে। এছাড়া, মিলিটারি বেস, পাওয়ারপ্লান্ট বা গুরুত্বপূর্ণ বিল্ডিংগুলো এমনভাবে ঢেকে দেওয়া হবে, যাতে স্যাটেলাইটে ধরা না পড়ে।