শান্তির আহ্বান জানালেও দেশের প্রতিরক্ষায় জোর দিলেন তাইওয়ান প্রেসিডেন্ট

চীনকে শান্তি ও সংলাপের বার্তা দিলেও দ্বীপেরাষ্ট্রটির প্রতিরক্ষা জোরদারের অঙ্গীকার করলেন তাইওয়ানের প্রেসিডেন্ট লাই ছিং-তে। দায়িত্ব গ্রহণের এক বছর পূর্ণ করার পর, মঙ্গলবার (২০ মে) প্রেসিডেন্ট জানিয়েছেন, প্রতিরক্ষা জোরদারে কাজ চালিয়ে যেতে হবে। ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স এ খবর জানিয়েছে।

রাজধানী তাইপেইয়ের প্রেসিডেন্ট কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলন লাই চীনের প্রতি শান্তির বার্তা দেন।

তিনি বলেন, ‘আমি শান্তির পক্ষে। কারণ শান্তি অমূল্য এবং যুদ্ধে কোনও বিজয়ী নেই। তবে শান্তি চাওয়ার সময় আমাদের কোনও স্বপ্ন বা ভ্রমে থাকা উচিত নয়।’

তিনি আরও বলেন, ‘তাইওয়ান যুদ্ধের জন্য প্রস্তুতি চালিয়ে যাবে। কারণ যুদ্ধের প্রস্তুতিই যুদ্ধ এড়ানোর শ্রেষ্ঠ উপায়।’

চীন অবশ্য প্রেসিডেন্ট লাইকে ‘বিচ্ছিন্নতাবাদী’ হিসেবে অভিহিত করেছে এবং তার একাধিক সংলাপের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছে। তবে লাই তাইওয়ানের ওপর চীনের সার্বভৌমত্বের দাবি প্রত্যাখ্যান করে বলেন, শুধু তাইওয়ানের জনগণই তাদের ভবিষ্যৎ নির্ধারণ করতে পারে।

লাই বলেন, ‘আমি এখানে আবারও পুনরাবৃত্তি করছি – পারস্পরিক মর্যাদার ভিত্তিতে চীনের সঙ্গে তাইওয়ান আনন্দের সঙ্গে বিনিময় ও সহযোগিতা করতে চায়। ঘিরে রাখার পরিবর্তে বিনিময় এবং সংঘাতের পরিবর্তে সংলাপ হওয়া উচিত।’

এ বিষয়ে চীনের তাইওয়ান বিষয়ক দপ্তর তাৎক্ষণিকভাবে কোনও মন্তব্য করেনি।

গত মাসে চীন তাইওয়ান ঘিরে যুদ্ধ মহড়া চালায় এবং ইঙ্গিত দেয় যে ভবিষ্যতে আরও মহড়া হতে পারে।

গত সপ্তাহে চীনের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় লাইকে ‘তাইওয়ান প্রণালি সংকটের সৃষ্টিকর্তা’ বলে অভিহিত করেছেন। বলেছেন,  লাই বিরোধ ও সংঘর্ষ বাড়িয়ে দিয়েছেন এবং শান্তি ও স্থিতিশীলতা নষ্ট করেছেন।

এদিকে প্রতিদিন চীনা সামরিক তৎপরতা সম্পর্কে তথ্য প্রকাশ করা তাইওয়ানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় তারা দ্বীপের কাছাকাছি ছয়টি চীনা যুদ্ধবিমান ও ১১টি যুদ্ধজাহাজ শনাক্ত করেছে।