জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের সভাপতিত্বের দায়িত্ব পেলো পাকিস্তান

জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের সভাপতিত্ব গ্রহণ করেছে পাকিস্তান। মঙ্গলবার (১ জুন) এ দায়িত্ব গ্রহণ করে দেশটি। এটি একটি প্রতীকী হলেও কৌশলগত দায়িত্ব, যা এসেছে এক অস্থির সময়ে। এটি ১৫ সদস্যবিশিষ্ট পরিষদে পাকিস্তানের অষ্টম মেয়াদ এবং ২০১৩ সালের পর প্রথমবারের সভাপতিত্ব। পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যম ডন এ খবর জানিয়েছে।

ইসলামাবাদ ২০২৫ সালের জানুয়ারিতে অস্থায়ী সদস্য হিসেবে তার বর্তমান দুই বছরের মেয়াদ শুরু করেছে এবং ২০২৬ সালের শেষ পর্যন্ত পরিষদের সদস্য থাকবে।

ডন পত্রিকাকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে জাতিসংঘে পাকিস্তানের স্থায়ী প্রতিনিধি রাষ্ট্রদূত আসিম ইফতিখার আহমদ বর্তমান বৈশ্বিক প্রেক্ষাপটের চ্যালেঞ্জের কথা তুলে ধরেন।

তিনি বলেন, ‘পাকিস্তান এমন এক সময়ে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের সভাপতিত্ব গ্রহণ করছে, যখন বিশ্বজুড়ে অস্থিরতা, সংঘাতের তীব্রতা, জটিল ভূরাজনৈতিক ও ভূকৌশলগত প্রেক্ষাপট এবং আন্তর্জাতিক শান্তি ও নিরাপত্তার ওপর গুরুতর হুমকি বিরাজ করছে।’

যদিও নিরাপত্তা পরিষদের সভাপতিত্ব মাসিক ভিত্তিতে ঘুরে আসে এবং এতে নির্বাহী ক্ষমতা থাকে না। তবে এটি সভাপতিত্বকারী দেশকে পরিষদের অ্যাজেন্ডা ও আলোচনার ধরন প্রভাবিত করার সুযোগ দেয়। এমন এক সময়ে এটি গুরুত্বপূর্ণ, যখন গাজা ও ইউক্রেন ইস্যুর মতো বিষয়ে নিরাপত্তা পরিষদকে অচল মনে করা হচ্ছে। বহুপাক্ষিক ব্যবস্থার ওপর বৈশ্বিক আস্থার সংকটের মধ্যে পাকিস্তানের নেতৃত্ব —স্বল্পকালীন হলেও গভীর নজরদারির আওতায় থাকবে।

রাষ্ট্রদূত আহমদ বলেন, পাকিস্তান সবসময় শান্তিপূর্ণ উপায়ে দ্বন্দ্ব নিষ্পত্তির পক্ষে ছিল। পাকিস্তান সব সময় সংলাপ ও কূটনীতির প্রবল এবং ধারাবাহিক সমর্থক… আমরা নিরাপত্তা পরিষদের কার্যক্রমে একটি নীতিভিত্তিক ও ভারসাম্যপূর্ণ দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে আসব।

তিনি বহুপাক্ষিকতাকে আরও মজবুত করা এবং নিরাপত্তা পরিষদের অন্যান্য সদস্যদের সঙ্গে সহযোগিতা গভীর করার অঙ্গীকার করেন।

তিনি বলেন, আমরা পাকিস্তানের সভাপতিত্বকালে স্বচ্ছতা, অন্তর্ভুক্তি ও সাড়া দেওয়ার সক্ষমতা বৃদ্ধি করতে চাই।

জাতিসংঘ সনদের সঙ্গে সংগতিপূর্ণ এবং আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রত্যাশা অনুযায়ী সহযোগিতার চেতনায়—সম্মিলিত ও সময়োপযোগী পদক্ষেপ গ্রহণের মাধ্যমে আমরা অন্যান্য পরিষদ সদস্যদের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করব।