গ্রিসে টানা বিক্ষোভের ৩য় দিনেও পুলিশ-অভিবাসী সংঘর্ষ

উত্তর গ্রিসে শনিবারও টানা তৃতীয় দিনের মতো কয়েক শ’ অভিবাসীর সঙ্গে গ্রিক পুলিশের সংঘর্ষ হয়েছে। অভিবাসীরা পাথর ছুড়ে মারলে পাল্টা পদক্ষেপ হিসেবে পুলিশ টিয়ারগ্যাস ও স্টান গ্রেনেড নিক্ষেপ করে। মার্কিন বার্তা সংস্থা অ্যাসোসিয়েটেড প্রেস এ খবর জানিয়েছে।

WireAP_5a15181041994e27bd96f99783c52571_16x9_992

গ্রিক কর্তৃপক্ষের দাবি, সামাজিক মাধ্যমে প্রচারিত একটি গুজবের জের ধরে দিয়াভাটা শরণার্থী শিবিরে বিক্ষোভ শুরু হয়েছে। ওই গুজবে বলা হয়েছে, উত্তর ইউরোপের সীমান্ত অভিবাসীদের জন্য খুলে দেওয়া হয়েছে। এতে করে অভিবাসীরা নর্থ মেসিডোনিয়ায় প্রবেশের জন্য দিয়াভাটা শিবিরে জড়ো হন। কিন্তু পুলিশ সীমান্ত অতিক্রমে বাধা দিলে শুরু হয় সংঘর্ষ।

শনিবার পুলিশের টিয়ারগ্যাসে শিশুসহ অনেক অভিবাসী অজ্ঞান হয়ে পড়েন। টিয়ারগ্যাস থেকে বাঁচতে বিক্ষোভকারীরা আগুন জ্বালিয়ে দেয় বিভিন্ন স্থানে। কিন্তু তখন পুলিশ স্টান গ্রেনেড ছুড়ে।

রাজধানী এথেন্সে শুক্রবার অভিবাসীরা রেল লাইন অবরোধ করে রাখে। শুক্রবার সেখান থেকে বিক্ষোভকারীরা সরে গেলে রেল যোগাযোগ স্বাভাবিক হয়।

২০১৫ সালে শুরু হয়ে এখন পর্যন্ত তুরস্ক থেকে গ্রিসে হাজার হাজার শরণার্থী ও অভিবাসী যাচ্ছে। এজিয়ান সাগর দিয়ে তুরস্ক থেকে গ্রিসে যাওয়ার পথ ছোট হলেও বিপজ্জনক। প্রতিদিন শত শত মানুষ এভাবে সাগর পাড়ি দেওয়ার চেষ্টা করে।

২০১৬ সালে তুরস্ক ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের মধ্যে একটি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। তারপর থেকে এভাবে গ্রিসে যেতে চাওয়া অভিবাসী ও শরণার্থীর সংখ্যা কমে এসেছে। ওই চুক্তি অনুযায়ী, যদি গ্রিসের আইন অনুযায়ী গ্রিসে গিয়ে পৌঁছানো কোনও অভিবাসী বা শরণার্থী দেশটির আইন অনুযায়ী শরণার্থীর মর্যাদা না পায় তাহলে তাদের তুরস্কে ফেরত পাঠানো হবে। কিন্তু যেহেতু বাছাই প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে সময় লেগে যায়, সেহেতু গ্রিসের দ্বীপগুলোতে ক্রমেই ভিড় বেড়ে চলেছে।