ইউক্রেনে সামরিক সরঞ্জাম পাঠাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র, নজরে রাশিয়া

ইউক্রেনে ১৫০ মিলিয়ন ডলারের সামরিক সরঞ্জাম পাঠানোর ঘোষণা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। শুক্রবার মার্কিন প্রতিরক্ষা দফতর পেন্টাগন এ ঘোষণা দিয়েছে। এর মধ্যে কাউন্টার আর্টিলারি রাডার, ইলেক্ট্রনিক ওয়ারফেয়ার ইকুইপমেন্ট এবং কাউন্টার ড্রোন প্রযুক্তিও রয়েছে। মস্কোর সঙ্গে কিয়েভের উত্তেজনার মধ্যেই ইউক্রেনে এসব সরঞ্জাম পাঠানোর ঘোষণা দিলো বাইডেন প্রশাসন। দৃশ্যত রাশিয়ার প্রতি নজর রেখেই এগুলো পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে হোয়াইট হাউস।

ইউক্রেনে সামরিক সরঞ্জাম পাঠানোর জন্য অবশ্য আগেই তহবিলের অনুমোদন দিয়ে রেখেছিল মার্কিন কংগ্রেস। তবে শুক্রবার পেন্টাগনের ঘোষণায় যুক্তরাষ্ট্রের অর্থবছর শেষ হওয়ার আগেই কিভাবে ইউক্রেনের জন্য বরাদ্দকৃত সহায়তা পাঠানো হবে সেটি পরিষ্কার করা হয়েছে। আগামী সেপ্টেম্বরে যুক্তরাষ্ট্রের বর্তমান অর্থবছর শেষ হবে।

২০১৪ সালে ইউক্রেনের ক্রিমিয়া অঞ্চল দখল করে নেয় রাশিয়া। এরপরই দুই দেশের সম্পর্কে ব্যাপক অবনতি ঘটে। ইউক্রেনের পক্ষে অবস্থান নেয় যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমা দেশগুলো। অন্যদিকে নিজের অবস্থানে অনড় থাকে মস্কো। এছাড়া রাশিয়ার বিরুদ্ধে ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলে রুশপন্থী বিচ্ছিন্নতাবাদীদের উসকানি দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে।

এদিকে যুক্তরাষ্ট্র-রাশিয়ার সম্পর্ক সাম্প্রতিক বছরগুলোতে তলানিতে ঠেকেছে বলে মন্তব্য করেছেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। আর এই সম্পর্ক উন্নয়নে উভয় দেশকেই মনোযোগী হওয়া উচিত বলে মত দিয়েছেন তিনি। শুক্রবার এনবিসি নিউজকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে নিজের এমন মনোভাবের কথা জানান তিনি।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব নেওয়া পর আগামী ১৬ জুন সুইজারল্যান্ডের জেনেভায় প্রথমবার পুতিনের সঙ্গে বৈঠক হতে যাচ্ছে বাইডেনের। তার আগেই পুতিনকে হুঁশিয়ার করে দেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। তিনি বলেছেন, অন্য গণতান্ত্রিক দেশগুলোকে রাশিয়া ভয় দেখালে প্রতিশোধ নেবে যুক্তরাষ্ট্র। পরে এ নিয়ে মার্কিন টেলিভিশন চ্যানেল এনবিসি নিউজকে সাক্ষাৎকার দেন পুতিন। বাইডেনের সতর্কবার্তার ইস্যু টেনে সাংবাদিক পুতিনের কাছে প্রশ্ন রাখেন। ‘পুতিন বলেন, আমাদের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক আছে। তবুও দুই দেশের সম্পর্ক আগের চেয়ে আরও অবনতি হয়েছে। এই তিক্ত সম্পর্ক কাটানো জরুরি।’

গত বুধবার যুক্তরাজ্যের মিলডেনহলের রয়্যাল এয়ারফোর্স ঘাঁটিতে পৌঁছে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমরা রাশিয়ার সঙ্গে সংঘাত চাই না... আমরা চাই একটি স্থিতিশীল ও অনুমানযোগ্য সম্পর্ক। আমার অবস্থান পরিষ্কার। রুশ সরকার ক্ষতিকর কার্যক্রমে যুক্ত হলে যুক্তরাষ্ট্র অর্থবহ উপায়ে প্রতিক্রিয়া জানাবে।’ সূত্র: রয়টার্স।