বাইডেনের সঙ্গে বৈঠক নিয়ে যা বললেন এরদোয়ান

বেলজিয়ামের রাজধানী ব্রাসেলসে রুদ্ধদ্বার বৈঠকে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সঙ্গে ‘ফলপ্রসূ ও গঠনমূলক’ আলোচনা হয়েছে বলে জানিয়েছেন তুর্কি প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়্যেব এরদোয়ান। ন্যাটোর সামরিক জোটের সম্মেলনে পার্শ্ব বৈঠকে বাইডেন-এরদোয়ানের মধ্যে দীর্ঘক্ষণ আলোচনা হয়। দু'দেশের মধ্যকার সম্পর্ক অবনতির নানা দিক উঠে আসে এতে।

তুরস্ক ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে সম্পর্ক ঝালিয়ে নিতে সোমবার এক ঘণ্টার বেশি সময় আলোচনা হয় মার্কিন প্রেসিডেন্ট বাইডেন ও তুরস্কের প্রেসিডেন্ট এরদোয়ানের। আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমের নজর ছিল দুজনের একান্ত বৈঠকের দিকে।

আলোচনা শেষে সংবাদ সম্মেলনে এরদোয়ান জানান, এমন কোনও বিষয় তুরস্ক ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে থাকতে পারে না, যার কোনও সমাধান নেই’।

যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধ অমান্য করে রাশিয়ার কাছ থেকে আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা প্রযুক্তি এস-৪০০ কিনে তুরস্ক। এ নিয়ে দু’দেশের সম্পর্ক বেশ অবনতি হয়। এছাড়াও সিরিয়া, লিবিয়া, কুর্দিদের মার্কিন সমর্থনসহ একাধিক কারণে ওয়াশিংটনের সঙ্গে সুসম্পর্ক নেই আঙ্কারার। এ অবস্থায় সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে সোমবার (১৪ জুন) পূর্ব নির্ধারিত বৈঠকে বসেন দু’দেশের রাষ্ট্রপ্রধান।

এদিকে মার্কিন প্রেসিডেন্ট সাংবাদিকদের জানান, আলোচনাটি ছিল ইতিবাচক এবং ফলদায়ক। বেশ কিছু ইস্যুতে তাদের মধ্যে বিস্তারিত কথা হয়েছে। তবে এ বিষয়ে এর বেশি কিছু জানাননি বাইডেন। তবে বাইডেন আলোচনার বিষয়ে খুব একটা কথা না বললেও এরদোয়ান সাংবাদিকদের সঙ্গে বেশ খোলামেলাভাবেই কথা বলেন।

এস-৪০০ নিয়ে তেমন কোনও আলোচনা হয়নি। রাশিয়ার কাছ থেকে এটি ক্রয় করায় সামরিক সরঞ্জাম কেনায় মার্কিন নিষেধাজ্ঞার কবলে পড়ে তুরস্ক। অন্যদিকে মার্কিন অত্যাধুনিক যুদ্ধবিমান এফ-৩৫-এর বিষয়ে বাইডেন আঙ্কারাকে আবারও ফেরাতে চায় বলে জানান তুর্কি প্রেসিডেন্ট। এদিকে প্রতিরক্ষা খাতে দু'দেশ চাইলে যৌথ উদ্যোগ নিতে পারে বলেও বাইডেনকে ইঙ্গিত দেন এরদোয়ান।