যুদ্ধাপরাধের বিচারে রুশ সেনার দায় স্বীকার

যুদ্ধ শুরুর পর ইউক্রেনে শুরু হওয়া প্রথম যুদ্ধাপরাধের বিচারে দায় স্বীকার করেছেন এক রুশ সেনা। ২১ বছরের এই সেনা এক নিরস্ত্র বেসামরিককে হত্যায় দায় স্বীকার নিয়েছেন। যুদ্ধ শুরুর কয়েক দিন পর ভাদিম শিশিমারিন ৬২ বছরের এক ব্যক্তিকে গুলি করার কথা স্বীকার করেছেন। যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হতে পারে তার।

এই বন্দিকে কিয়েভের আদালত কক্ষে হাতকড়া পরিয়ে তোলা হয়, পাশে ছিল ভারী অস্ত্রধারী রক্ষীরা। তাকে ঘাবড়ে যেতে এবং মাথা নিচু করে থাকতে দেখা যায়। তার থেকে কয়েক মিটার দূরে বসেছিলেন নিহত ব্যক্তির স্ত্রী।

রুশ সেনা আদালতে প্রবেশের পর বিধবা নারীটিকে চোখের কান্না মুছতে দেখা যায়। প্রসিকিউটররা মামলার শুনানি শুরু করলে তাকে হাত মুষ্ঠিবদ্ধ করে বসে থাকতে দেখা যায়। আইনজীবীরা ওই সময় কাটেরিনার স্বামী ওলেকসান্দর সেলিপভের মাথায় গুলি চালানোর মুহূর্তের বর্ণনা দেন।

রুশ সেনার উদ্দেশে বিচারক প্রশ্ন করেন, ‘আপনি কি দোষ স্বীকার করছেন?’ শিশিমারিন উত্তর দেন, ‘হ্যাঁ’। ‘সম্পূর্ণ?’ ‘হ্যাঁ’ নিরবে উত্তর দেন ওই সেনা।

প্রসিকিউটররা জানিয়েছেন শিশিমারিন একটি ট্যাংক ডিভিশনের নেতৃত্ব দিচ্ছিলেন, তখনই তার বহর হামলার মুখে পড়ে। তিনি এবং অপর চার সেনা একটি গাড়ি চুরি করে কাছের চুপাকিভকা শহরে প্রবেশ করে। তখনই তারা ৬২ বছরের এক বাইসাইকেল আরোহীর সামনে পড়ে। আইনজীবীদের মতে শিশিমারিন ওই বেসামরিককে হত্যার নির্দেশ দেন এবং তা করতে একটি কালাশনিকভ অ্যাসল্ট রাইফেল ব্যবহার করা হয়।

ক্রেমলিন আগে জানিয়েছে, তারা এই মামলার বিষয়ে অবগত নয়।

রুশ সেনাকে দায় স্বীকার করতে শোনার কিছুক্ষণ পরই মামলাটির বিচার স্থগিত করা হয়। বৃহস্পতিবার আরও বড় আদালত কক্ষে এই মামলার পরবর্তী শুনানি অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে।

সূত্র: বিবিসি