মাংকিপক্স নিয়ে সতর্ক করলেন ব্রিটিশ বিজ্ঞানীরা

করোনা মহামারির মধ্যেই ইউরোপে মাংকিপক্স ভাইরাসে শনাক্ত হচ্ছেন অনেকে। গত কয়েকদিনে যে হারে শনাক্ত হয়েছে, তা নিয়ে সতর্ক করেছেন বিজ্ঞানীরা। তারা বলছেন, সামনে নতুন করে আরও সংক্রমিত রোগী শনাক্ত হতে পারেন।

ইউরোপে ইতোমধ্যে ৯০ জন রোগী শনাক্ত হয়েছেন। যুক্তরাষ্ট্র, অস্ট্রেলিয়া এবং ব্রিটেনেও মাংকিপক্স রোগী শনাক্ত। এটি আগে পশ্চিম আফ্রিকার মধ্যেই ছিল। হঠাৎ আফ্রিকার বাইরে ছড়িয়ে পড়ায় স্বাভাবিকভাবে দেখছেন না চিকিৎসকরা।

এ নিয়ে যুক্তরাজ্যের ক্যামব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের রোগ বিশেষজ্ঞ শার্লট হ্যামার বলেন, 'আমি নিশ্চিত যে সামনে আরও শনাক্ত দেখতে যাচ্ছি। স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ সক্রিয়ভাবে সংক্রিমতদের খুঁজছেন। মাংকিপক্সের ইনকিউবেশনের সময়কাল এক থেকে তিন সপ্তাহের মধ্যে হয়ে থাকে। যারা প্রাদুর্ভাবের প্রথমদিকে আক্রান্তদের সংস্পর্শে এসেছেন, তাদের মধ্যে সংক্রমণ দেখতে পাবো।

তবে নটিংহ্যাম বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক কিথ নিল বলেন, ভাইরাসটিকে আপাতত প্রাণঘাতী মনে হচ্ছে না।

গত কয়েক সপ্তাহে ব্রিটেন,ফ্রান্স, জার্মানি, বেলজিয়াম, ইতালি, পর্তুগাল, স্পেন, সুইডেন, কানাডা, অস্ট্রেলিয়া ও যুক্তরাষ্ট্র এবং সবশেষ ইসরায়েলে মাংকিপক্সে আক্রান্ত শনাক্ত হয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, রোগটি বিভিন্ন দেশে হয়ত ছড়িয়ে পড়ছে।

উপসর্গ ও চিকিৎসা

স্মলপক্সের মতোই উপসর্গ দেখা যায় মাংকিপক্স আক্রান্তদের মধ্যে। যদিও এই রোগের ভয়াবহতা স্মলপক্সের তুলনায় কম। উপসর্গগুলোর মধ্যে রয়েছে, জ্বর, মাথাব্যথা, পেশির ব্যথা, পিঠে ব্যথা, ক্লান্তি, কাঁপুনি।

মাংকিপক্সে আক্রান্তদের নির্দিষ্ট ওষুধ বা চিকিৎসা পদ্ধতি নেই। পরিসংখ্যান অনুসারে, স্মলপক্সের টিকা ৮০ শতাংশ ক্ষেত্রে মাংকিপক্সের বিরুদ্ধে কাজ করে।

সূত্র: দ্য গার্ডিয়ান।