কিয়েভে বরিস জনসন

পদত্যাগের পর প্রথমবার ইউক্রেন সফরে গিয়ে প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন সাবেক ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন।  সফরে কিয়েভের পাশে থাকার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন তিনি।

রবিবার (২২ জানুয়ারি) কিয়েভে আকস্মিক সফরে যান বরিস জনসন। ইউক্রেন যুদ্ধের সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনায় বসেন প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কির সঙ্গে। প্রতিশ্রুতি দিয়ে জনসন বলেন, ‘যত দিন প্রয়োজন ইউক্রেনের পাশে থাকবে যুক্তরাজ্য।’

রবিবারের সফরে ইউক্রেনের বোরোদ্যাঙ্কা ও বুচা শহরও পরিদর্শন করেন বরিস। বুচার বাসিন্দাদের সঙ্গে ছবিও তুলেন জনসন। যুদ্ধে ক্ষতিগ্রস্তদের স্মরণে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান তিনি। শহরটির মেয়রকে ইউক্রেনের পাশে থাকার আশ্বাস দিয়ে বলেন, ‘এই যুদ্ধে ইউক্রেনই বিজয় লাভ করবে এবং যুক্তরাজ্য পাশে আছে। কিয়েভ পুনর্গঠনেও পাশে থাকতে চায় ব্রিটেন’।

ইউক্রেনে মস্কোর হামলার প্রথমদিকে রুশ বাহিনী এই দুটি শহরে ব্যাপকভাবে নৃশংসতা চালায়। পরবর্তীতে ইউক্রেনীয় সেনাদের তীব্র প্রতিরোধের মুখে বুচা ছাড়তে বাধ্য হয় রুশ বাহিনী। পরে সেখানে একাধিক গণকবর পাওয়া যায়। রুশ বাহিনী বুচায় গণহত্যা চালিয়েছে বলে দাবি জেলেনস্কির প্রশাসনের।

বোরোদ্যাঙ্কা পরিদর্শনের সময় জনসন রুশ হামলায় বিধ্বস্ত আবাসিক এলাকা ঘুরে দেখেন। সেখানকার মেয়র ওলেক্সি কুলেবা জানান, যুদ্ধে শহরটির ১৬২ বাসিন্দা নিহত হয়েছেন। তবে স্বস্তির খবর হচ্ছে, বর্তমানে ৬০ শতাংশ বাসিন্দা শহরটিতে ফিরে এসেছে।

উল্লেখ্য, করোনা মহামারী চলাকালে ডাউনিং স্ট্রিটে মদ্যপান পার্টির আয়োজন করে ব্যাপক চাপের মুখে পড়েন তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। বেশ কিছু বিতর্কিত কারণে গত সেপ্টেম্বরে পদত্যাগ করতে বাধ্য হন। বিতর্কে জড়ানোর পরও ইউক্রেনে ব্যাপক জনপ্রিয় তিনি। কিয়েভের লোকজন ভালোবেসে তাকে ‘বরিস জনসনিউক’ নামেও ডাকেন।