পুতিনের সিদ্ধান্ত ‘বিপজ্জনক ও দায়িত্বজ্ঞানহীন’: ন্যাটো

রুশ প্রেসিডেন্ট পুতিন তার মিত্র বেলারুশে কৌশলগত পারমাণবিক অস্ত্র মোতায়েনের ঘোষণা দেওয়ায় কঠোর সমালোচনা করেছে পশ্চিমা সামরিক জোট ন্যাটো। পুতিনের এমন সিদ্ধান্তকে ‘বিপজ্জনক ও দায়িত্বজ্ঞানহীন’ উল্লেখ করে বিবৃতিতে সমালোচনা করেছে সামরিক জোটটি।

ভ্লাদিমির পুতিন শনিবার বলেন, পারমাণবিক অস্ত্র মোতায়েনটি যুক্তরাষ্ট্রের পদক্ষেপের অনুরূপ, যা বেলজিয়াম, জার্মানি, ইতালি, নেদারল্যান্ডস এবং তুরস্কজুড়ে ঘাঁটি রয়েছে। কৌশলগত পারমাণবিক অস্ত্র বলতে, যুদ্ধক্ষেত্রে ব্যবহৃত পারমাণবিক অস্ত্রকে বোঝানো হয়ে থাকে। যুক্তরাষ্ট্র অনেক আগে থেকেই মিত্র দেশগুলোতে পারমাণবিক অস্ত্র মোতায়েন করে আসছে। ২০২২ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারিতে রাশিয়া ইউক্রেনে পূর্ণমাত্রায় আক্রমণে যাওয়ার পর পশ্চিমা রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা শঙ্কা প্রকাশ করে আসছেন, পুতিন ইউক্রেনে ছোট আকারে পারমাণবিক হামলা চালাতে পারেন।

রুশ  প্রেসিডেন্টের এমন ঘোষণা পর ইউক্রেনের পক্ষ থেকে উদ্বেগ জানানো হয়েছে। এ অবস্থায় রাশিয়ার ‘পারমাণবিক ব্ল্যাকমেইল’ মোকাবিলায় করণীয় নিয়ে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে জরুরি বৈঠকের আহ্বান জানিয়েছে কিয়েভ। দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় রবিবার (২৬ মার্চ) জানায়, ক্রেমলিনের পারমাণবিক ব্ল্যাকমেইল প্রতিরোধে  যুক্তরাজ্য, চীন, যুক্তরাষ্ট্র এবং ফ্রান্সের কাছ থেকে দায়িত্বশীল ভূমিকা আশা করে ইউক্রেন।

বেলারুশে পারমাণবিক অস্ত্র মোতায়নের ঘোষণায় পুতিনের সমালোচনায় যুক্ত হয়েছে ন্যাটো। সংস্থাটির মুখপাত্র ওনা লুঙ্গেস্কু মস্কোর ঘোষণাকে বিপজ্জনক ও দায়িত্বজ্ঞানহীন বলেন।

ইউক্রেন ছাড়াও ন্যাটোভুক্ত তিনটি দেশ পোল্যান্ড, লিথুনিয়া ও লাটভিয়ার সঙ্গে সীমান্ত রয়েছে বেলারুশের। ৯০-এর দশকের পরে এই প্রথম কোনও মিত্র দেশে পারমাণবিক অস্ত্র মোতায়েন করতে চলেছে রাশিয়া। সূত্র: আল জাজিরা