খেরসনে খাদ্য, গোলাবারুদ ও অস্ত্রের তীব্র সংকটে রুশ বাহিনী

খেরসন অঞ্চল পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে পেতে রুশ বাহিনীর সঙ্গে থেমে থেমে লড়াই চলছে ইউক্রেনীয় যোদ্ধাদের। যদিও অঞ্চলটির মূল শহর কিয়েভের দখলেই আছে। এই পরিস্থিতিতে রুশ সামরিকবিষয়ক বিশিষ্ট ব্লগার রোমান সাপনকোভ দাবি করেছেন, খেরসনে কামান ও গোলাবারুদের তীব্র সংকটে ভুগছে মস্কোর যোদ্ধারা।

এই সামরিক ব্লগারের ৭০ হাজারের বেশি ফলোয়ার রয়েছে। শুক্রবার তিনি বলেন, খেরসনে কামান ও গোলাবারুদের যে সংকটে ভুগছেন তাকে আগেই জানিয়েছিলেন সেনারা। 

ভিশনার্স চ্যানেল নামের আরও একটি রাশিয়ার ব্লগার রবিবার এক পোস্টে জানিয়েছে, রাশিয়ার ২০৫তম বিগ্রেড সেনাবাহিনী সংকটের মুখোমুখি। প্রকৃত সমস্যাটা রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় আরও ভালো বলতে পারবে। তবে গোলাবারুদের সংকট রয়েছে।

 

 

ওই ব্লগে আরও উল্লেখ করা হয়েছে, রাশিয়ার সঙ্গে ভাড়াটে ওয়াগনার বাহিনীর যে সমস্যা দেখা দিয়েছিল তা কাটিয়ে সামনে এগিয়ে যাবে বলে ভাবা হয়েছিল। কিন্তু তৃতীয় মাস চলে গেছে, কিছুই বদলায়নি।

গত সপ্তাহে বিমান বিধ্বস্তে নিহত ওয়াগনারের প্রধান প্রিগোজিন বিদ্রোহের আগে সামরিক রসদ সংকট নিয়ে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছিলেন মস্কোর সামরিক নেতৃত্বের বিরুদ্ধে। পরবর্তীতে বিদ্রোহ করে বসেন প্রিগোজিন। যার খেসারতও দিতে হয়েছে পুরো দলটিকে।

রুশ বাহিনীতে চলমান সংকট নিয়ে খোলাখুলিভাবেই বিষয়টি সামনে এনেছে আরও কয়েকটি ব্লগার গ্রুপ। খেরসনের কোথাও কোথাও খাদ্য, গোলাবারুদ, অস্ত্র সরবরাহের ঘাটতির কথা উল্লেখ করা হয়েছে। অঞ্চলটিতে ইউক্রেনীয় বাহিনীর বিরুদ্ধে লড়ছে রাশিয়ার সশস্ত্র বাহিনীর ২০৫তম ব্রিগেড। দিনিপ্রো নদীর আশপাশে তাদের নিয়ন্ত্রণে নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিল ক্রেমলিন। সূত্র: সিএনএন