গাজায় ইসরায়েলি গণহত্যা ৭ অক্টোবর শুরু হয়নি: দক্ষিণ আফ্রিকা

গাজায় ইসরায়েলি গণহত্যা ৭ অক্টোবর শুরু হয়নি বলে আন্তর্জাতিক বিচারিক আদালতে (আইসিজে)-এর শুনানিতে উল্লেখ করেছেন দক্ষিণ আফ্রিকার আইনজীবী ও প্রতিনিধিরা। বৃহস্পতিবার (১১ জানুয়ারি) নেদারল্যান্ডসে আইসিজেতে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে গাজায় গণহত্যার মামলার শুনানিতে তারা এ কথা বলেন। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা এ খবর জানিয়েছে।

গাজায় ইসরায়েলি গণহত্যার ইতিহাস তুলে ধরে দক্ষিণ আফ্রিকার পক্ষ থেকে বলা হয়, আজকে আপনারা যে গণহত্যা দেখছেন তা ৭ অক্টোবর থেকে শুরু হয়নি। এটা শুরু হয়েছে ১৯৪৮ সাল থেকে। তখন থেকেই বর্ণবাদ, বৈষম্য, ঘৃণামূলক বক্তব্য, যুদ্ধাপরাধ ও গণহত্যা করে আসছে ইসরায়েল।

আল জাজিরার সিনিয়র রাজনৈতিক বিশ্লেষক মারওয়ান বিশারা বলেন, দক্ষিণ আফ্রিকার আইনজীবীরা গাজায় ইসরায়েলের গণহত্যার ইতিহাস তুলে ধরতে শুরু করেছেন। এটি এই মামলার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

শুনানিতে নেদারল্যান্ডসে নিযুক্ত দক্ষিণ আফ্রিকার রাষ্ট্রদূত ভুসিমুজি ম্যাডনসেলা, দেশটির আইনমন্ত্রী রোনাল্ড লামোলা উপস্থিত ছিলেন। শুনানিতে আইনজীবী হিসেবে দেশটির প্রতিনিধিত্ব করেন আদিলা হাসিম। সভাপতিত্ব করেন আইসিজের প্রেসিডেন্ট হুয়ান ডনোগুই। তার সঙ্গে ছিলেন দক্ষিণ আফ্রিকার বিচারক ডিকগাং আরনেস্ট মোসেনেকে ও ইসরায়েলি বিচারক আহারন বারাক।

গাজায় ইসরায়েলের বিরুদ্ধে গণহত্যার অভিযোগে মামলাটি করেছে দক্ষিণ আফ্রিকা। জাতিসংঘের আদালতে দক্ষিণ আফ্রিকার দায়ের করা এ মামলা প্রত্যাখ্যান করেছে ইসরায়েল। তবে দেশটি শুনানিতে উপস্থিত থাকছে। বৃহস্পতিবারের শুনানি স্থগিত হয়েছে। শুক্রবারও শুনানির কথা রয়েছে।

আদালতের কাছে দক্ষিণ আফ্রিকা ‘গণহত্যা কনভেনশনের অধীনে ফিলিস্তিনিদের অধিকারের আরও গুরুতর এবং অপূরণীয় ক্ষতি হওয়ার বিরুদ্ধে সুরক্ষা’ এবং ‘গণহত্যায় জড়িত না হওয়ার জন্য ইসরায়েলকে বাধ্যবাধকতা মেনে চলতে বাধ্য করা এবং গণহত্যা প্রতিরোধ ও শাস্তি দেওয়ার জন্য’ অনুরোধ করেছে।

৭ অক্টোবর থেকে ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলের নির্বিচার হামলায় ২৩ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। ইসরায়েলের চলমান আগ্রাসনে গাজার বেসামরিক অবকাঠামো এবং সাংস্কৃতিক স্থানগুলোও বিপর্যয়কর ক্ষতির মুখে পড়েছে।