ইয়েমেনের হুথি বিদ্রোহীরা শতাধিক বন্দিকে মুক্তি দিয়েছে। রবিবার (২৬ মে) সানায় তাদের মুক্তি দেওয়া হয়। গোষ্ঠীটির দাবি, বন্দিদের ক্ষমা করা ও পরিবারের কাছে তাদের ফিরিয়ে দেওয়া একটি মানবিক উদ্যোগ। ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স এ খবর জানিয়েছে।
বন্দিদের মুক্তির বিষয়ে ঘোষণা দিয়ে হুথি পরিচালিত কারাগার-বিষয়ক কমিটির প্রধান আবদুল কাদের আল-মুর্তাদা বলেছেন, মানবিক বিবেচনায় বেশিরভাগ বন্দিকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে। এদের মধ্যে কেউ কেউ অসুস্থ, কেউ আহত এবং অনেক বয়স্ক মানুষ রয়েছেন।
তিনি বলেছেন, বন্দিরা ছিলেন রণক্ষেত্রে আটক হওয়া সরকারি সেনা।
কিন্তু আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত ইয়েমেনের সরকার বলেছে, মুক্ত বন্দিরা সরকারি সেনা ছিলেন না। কিন্তু এরা বেসামরিক। হুথিরা তাদের বাড়ি, মসজিদ ও কর্মক্ষেত্র থেকে অপহরণ করেছিল।
ইয়েমন সরকারের মানবাধিকার-বিষয়ক উপ-মন্ত্রী মাজেদ ফাদাইল বলেছেন, যেকোনও পরিচয় দিয়ে বন্দিদের মুক্তি দেওয়া হোক না কেন হুথিদের অপরাধ আড়াল হয়ে যায় না।
ইন্টারন্যাশনাল কমিটি অব দ্য রেড ক্রস (আইসিআরসি) রবিবার নিশ্চিত করেছে সংঘাত সংশ্লিষ্ট ১১৩ বন্দিকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে। তাদের মুক্তি যাতে মানবিক ও সম্মানসূচক হয় তা নিশ্চিত করতে সংস্থাটি সহযোগিতা করেছে।
২০১৪ সালে রাজধানী সানা থেকে সরকারকে উৎখাত করে হুথি বিদ্রোহীরা। এরপর সৌদি আরবের নেতৃত্বাধীন সামরিক জোট উৎখাত হওয়া সরকারের পক্ষে হস্তক্ষেপ করে। গত বছর ডিসেম্বরে একটি শান্তি প্রস্তাবের রূপরেখা তুলে ধরেছিল জাতিসংঘ। কিন্তু লোহিত সাগরে বাণিজ্যিক জাহাজে হুথিরা হামলা বাড়িয়ে দিলে আলোচনায় অগ্রগতি স্থবির হয়ে পড়ে।