ইউক্রেন যুদ্ধ নিয়ে আলোচনা, চীন সফর করবেন ল্যাভরভ

ইউক্রেনের সঙ্গে চলমান নিয়ে আলোচনা করতে চীন সফর করবেন রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই ল্যাভরভ। সোম ও মঙ্গলবার (৮ ও ৯ এপ্রিল) তিনি চীন অবস্থান করবেন। রবিবার রুশ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এ কথা বলেছে। সফরে মস্কো ও বেইজিংয়ের মধ্যে অংশীদারিত্ব আরও গভীর করার উদ্যোগ নেবেন তিনি। ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স এ খবর জানিয়েছে।

রাশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছেন, চীনা পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই-এর আমন্ত্রণে এই সফর করবেন ল্যাভরভ। এই সফরে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতার পাশাপাশি ইউক্রেনে সংকট, এশীয় প্রশান্তের মতো গুরুত্বপূর্ণ ইস্যু নিয়ে আলোচনা হবে।

গত মাসে রয়টার্স এক প্রতিবেদনে জানিয়েছিল, মে মাসে চীন সফর করতে পারেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। চীনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সঙ্গে তিনি বৈঠক করবেন। নতুন মেয়াদে প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ার পর পুতিনের এটিই হবে প্রথম বিদেশ সফর।

২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে চীন ও রাশিয়া ‘সীমাহীন’ অংশীদারিত্ব ঘোষণা করেছিল। এই ঘোষণার কয়েক দিন পর ইউক্রেনে সর্বাত্মক আক্রমণ করে রুশবাহিনী। এর ফলে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর ইউরোপে সবচেয়ে প্রাণঘাতী ও বড় যুদ্ধের সূত্রপাত হয়। যা এখন তিন বছরে গড়িয়েছে।

চীনকে সবচেয়ে বড় প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে বিবেচনা করে যুক্তরাষ্ট্র। দেশটিকে রাশিয়াকে বৃহত্তম রাষ্ট্রীয় হুমকি মনে করে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন মনে করেন, এই শতাব্দী গণতন্ত্র ও স্বৈরাচারের মধ্যে লড়াইয়ের জন্য পরিচিত হবে।

পুতিন ও শি উভয়েই একটি বিস্তৃত বিশ্ব দৃষ্টিভঙ্গি ধারণ করেন। তারা পশ্চিমা বিশ্বকে অধঃপতিত ও ক্ষয়িষ্ণু হিসেবে বিবেচনা করেন। কোয়ান্টাম কম্পিউটিং, কৃত্রিম জীববিজ্ঞান থেকে শুরু করে গুপ্তচরবৃত্তি ও সামরিক শক্তিতে যুক্তরাষ্ট্রের শ্রেষ্ঠত্বকে চ্যালেঞ্জ জানাচ্ছে চীন।

২০২৩ সালে চীন ও রাশিয়ার বাণিজ্য রেকর্ড ২৪০ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছায়। এক বছরে আগের তুলনায় তা ২৬ দশমিক ৩ শতাংশ বেড়েছে। ২০২৩ সালে চীন থেকে রাশিয়ায় পণ্য সরবরাহ ৪৬ দশমিক ৯ শতাংশ বেড়েছে। আর রাশিয়া থেকে চীনের আমদানি বেড়েছে ১৩ শতাংশ।

একই বছরে চীন ও রাশিয়ার বাণিজ্য ১১ শতাংশ কমে ৬৬৪.৫ বিলিয়নে নেমেছে।

ইউক্রেন যুদ্ধের প্রথম বার্ষিকীতে রাশিয়া ১২ দফার একটি শান্তি পরিকল্পনার প্রস্তাব দেয়। রাশিয়া চীনের প্রস্তাবকে যুক্তিসংগত বলে উল্লেখ করেছে। পশ্চিমারা তা প্রত্যাখ্যান করেছে।