তুরস্ক-জার্মানি কূটনৈতিক সম্পর্কে উত্তেজনা

এরদোয়ানের সমর্থনে জার্মানিতে ৩৫ হাজার মানুষের মিছিল

এরদোয়ানের সমর্থনে জার্মানিতে মিছিলজার্মানিতে তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়্যেব এরদোয়ানের সমর্থনে ৩৫ হাজার মানুষ মিছিল করেছেন। রবিবারের এ মিছিলে ভিডিওতে বক্তব্য দেওয়ার কথা জানিয়েছিলেন এরদোয়ান। কিন্তু শনিবার জার্মানির একটি সাংবিধানিক আদালত এতে নিষেধাজ্ঞা জারি করে। এ নিয়ে তুরস্ক-জার্মানির কূটনৈতিক সম্পর্কে উত্তেজনা শুরু হয়েছে।

জার্মানির সংবাদ মাধ্যমের বরাত দিয়ে বিবিসি জানিয়েছে, মিছিলে অন্তত ৩৫ হাজার মানুষ উপস্থিত ছিলেন। তুরস্ক বংশোদ্ভুত প্রায় ৩০ লাখ মানুষ জার্মানিতে বাস করেন। এদের বেশিরভাগই তুরস্কের সর্বশেষ নির্বাচনে এরদোয়ানের একেপি পার্টিকে ভোট দিয়েছেন।

জার্মানিতে জন্মগ্রহণ করা তুরস্কের ক্রীড়া ও যুবমন্ত্রী আকিফ কাগাটে কিলিক জার্মানির কোলন শহরে উপস্থিত হয়েছিলেন। তিনি বলেন, জার্মানিতে বসবাসরত আমাদের স্বদেশবাসীরা গণতন্ত্রের পক্ষে এবং ব্যর্থ সেনা অভ্যুত্থানের বিপক্ষে, তাই আমরা এখানে এসেছি।

কোলন শহরে ২ হাজার ৭০০-র মতো পুলিশ মোতায়েন করা হয়। একই সময়ে উগ্র জাতীয়তাবাদীদের একটি মিছিলও অনুষ্ঠিত হয়। তবে তারা তুর্কিদের মিছিল থেকে বেশ খানিকটা দূরত্ব রেখে কর্মসূচি পালন করে।

মিছিলে অংশ নেওয়া এক নারী কেবসের দেমির বলেন, বলা হচ্ছে এরদোয়ানের সমর্থনে মিছিল। কিন্তু এটা সত্যি নয়, এটা হচ্ছে অভ্যুত্থানবিরোধী মিছিল।

অল্প কিছু সংখ্যক এরদোয়ানবিরোধী পাল্টা মিছিলের আয়োজন করেন। তাদের একজন গুলিস্তান গুল জানান, এরদোয়ানের বিরুদ্ধে কথা বলাটা গুরুত্বপূর্ণ।

জার্মানির সংবাদ মাধ্যমের খবর অনুসারে, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি এড়াতেই ভিডিওতে এরদোয়ানের বক্তব্য সম্প্রচার নিষিদ্ধ করা হয়। তুরস্কের ইউরোপীয় ইউনিয়ন বিষয়ক মন্ত্রী ওমর সেলিক একাধিক টুইটে এ সিদ্ধান্তের নিন্দা জানিয়েছেন। এরদোয়ানের মুখপাত্র বলেছেন, এ বিষয়ে জার্মানির কাছ থেকে ‘সন্তোষজনক ব্যাখ্যা’ চান তুর্কি প্রেসিডেন্ট।

গত ১৫ জুলাইয়ের ব্যর্থ সেনা অভুত্থান চেষ্টার জন্য যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক ইসলামি চিন্তাবিদ ফেতুল্লাহ গুলেনকে দায়ী করে আসছেন এরদোয়ান। সর্বশেষ তুরস্ক আরও ১ হাজার ৩৮৯ সেনাকে অভ্যুত্থান চেষ্টায় জড়িত অভিযোগে বরখাস্ত করেছে। এতে বরখাস্তকৃত সেনাদের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে তিন হাজারেরও বেশি। সূত্র: বিবিসি।

/এএ/