দিল্লির সহিংসতায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৫৩

দিল্লির সহিংসতায় নিহতের সংখ্যা আরও বেড়েছে। গত সপ্তাহে টানা পাঁচদিনের হিন্দুত্ববাদী তাণ্ডবে নিহতের সংখ্যা বেড়ে হলো ৫৩ জন। বৃহস্পতিবার হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের বরাতে ভারতীয় সংবাদমাধ্যমের খবরে এই বিষয়টি জানা গেছে।

WhatsApp-Image-2020-03-05-at-19.35.41

বৃহস্পতিবার দিল্লির গুরু তেগ বাহাদুর হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ আরও ছয় জনের মৃত্যুর কথা নিশ্চিত করেছে। এর আগে এই হাসপাতালে মৃতের সংখ্যা ছিল ৩৮। নতুন করে ছয়জনের মৃত্যু হওয়ায় এই হাসপাতালে নিহতের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ৪৪।

এছাড়া আরএমএল হাসপাতালে মৃত্যু হয়েছে পাঁচজনের। এলএনজেপি হাসপাতালে ৩ জনের এবং জগ প্রবেশ চন্দ্র হাসপাতালে একজনের মৃত্যু হয়েছে বৃহস্পতিবার। সব মিলিয়ে এখনও পর্যন্ত দিল্লি সহিংসতায় মোট নিহতের সংখ্যা ৫৩। নিহতদের মধ্যে রয়েছেন দিল্লি পুলিশের হেড কনস্টেবল রতন লাল ও গোয়েন্দা কর্মকর্তা অঙ্কিত শর্মা।

এই সহিংসতায় সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল উত্তর-পূর্ব দিল্লির শিব বিহার, জাফরাবাদ ও চাঁদবাগ এলাকা। এই চাঁদবাগ এলাকাতেই আম আদমি পার্টির কাউন্সিলর তাহির হুসেনের বাড়ির কাছে একটি নর্দমা থেকে উদ্ধার হয় আইবি অফিসার অঙ্কিত শর্মার ক্ষতবিক্ষত দেহ। তাকে হত্যায় নাম জড়ায় তাহির হুসেনের। পার্টি থেকে বরখাস্তও হন তিনি। দীর্ঘদিন ফেরার থাকার পর অবশেষে বৃহস্পতিবার আত্মসমর্পণ করেছেন তাহির হুসেন।

অন্যদিকে দিল্লি হামলার সময়ে ভাইরাল হয়েছিল আর এক যুবকের ছবি। সিলমপুরের বাসিন্দা শাহরুখ এখন পরিচিত নাম। লাল টি-শার্ট পরে জাফরাবাদের রাস্তায় বন্দুক উঁচিয়ে নিরস্ত্র পুলিশকর্মীর উপর আস্ফালন দেখিয়েছিল এই যুবক। তার গ্রেফতারি নিয়েও হয়েছিল নানা বিভ্রান্তি। তবে অবশেষে এই শাহরুখকেও হেফাজতে নিয়েছে দিল্লি পুলিশ।

টানা পঁচদিনের তাণ্ডবে অসংখ্য দোকানপাট, বাড়িঘর, স্কুল পুড়েছে উত্তর-পূর্ব দিল্লিতে। দিল্লির উপমুখ্যমন্ত্রী মনীশ সিসোদিয়া জানিয়েছেন, ৭৯টি বাড়ি এবং ৩২৭টি দোকান পুড়েছে এই সংঘর্ষের জেরে।

এই সহিংসতার ঘটনায় ৬৫৪টি অভিযোগ দায়ের হয়েছে। গ্রেফতার ও আটক করা হয়েছে ১৮২০ জনকে। অস্ত্র আইনে রুজু হয়েছে চারটি মামলা। আহত হয়েছেন তিন শতাধিক।