মোদির পা ধরতে প্রস্তুত মমতা

ঘূর্ণিঝড় ইয়াস পরবর্তী ক্ষয়ক্ষতি পর্যালোচনা সভা নিয়ে উত্তপ্ত পশ্চিমবঙ্গের রাজনীতিতে ঘি ঢেলেছে রাজ্যটির প্রধান সচিবকে বদলির ঘটনা। শুক্রবার রাতেই তৃণমূল নেতারা দাবি করেছিলেন, নির্বাচনে হেরে পশ্চিমবঙ্গের ওপর প্রতিশোধ নিচ্ছে বিজেপি। শনিবার সংবাদ সম্মেলনে তৃণমূল নেত্রী ও মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও সচিবকে বদলিকে রাজনৈতিক বলে উল্লেখ করে তা প্রত্যাহারের আহ্বান জানিয়েছেন। একই সঙ্গে তিনি বলেছেন, জনগণের স্বার্থে এই রাজনৈতিক প্রতিহিংসা বন্ধ করুন। আমি আপনার (নরেন্দ্র মোদি) পা ধরতে প্রস্তুত।   

শুক্রবার থেকেই বিজেপির শীর্ষনেতারা অভিযোগ করেন মমতা প্রধানমন্ত্রী মোদিকে ৩০ মিনিট অপেক্ষা করিয়ে রেখেছিলেন। শনিবার মমতা পাল্টা জানিয়েছেন, তাকেই বরং ২০ মিনিট আকাশে চক্কর কাটানো হয়েছিল। পরে  বসিয়ে রাখা হয়।

সংবাদ সম্মেলনে মুখ্য সচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়ের বদলি নিয়ে মোদির নেতৃত্বাধীন কেন্দ্রীয় সরকারের সঙ্গে সরাসরি সংঘাতে যাননি মমতা। বিষয়টি নিয়ে আলোচনার পথ খুলে রেখেই বদলির চিঠি ফিরিয়ে নেওয়ার অনুরোধ জানান তিনি। যদিও তিনি কলাইকুন্ডায় মোদির পর্যালোচনা বৈঠক এবং আলাপনের বদলি প্রসঙ্গে খোঁচাও দেওয়া বাদ দেননি। তিনি বলেন, ‘মুখ্যসচিব বাঙালি বলেই কী এত রাগ! আমি বাঙালি-অবাঙালি করতে চাই না।’

মমতা বলেন, ‘আমাকে, মুখ্যসচিবকে এবং রাজ্য সরকারকে অপমান করা হয়েছে। এটা হচ্ছে স্রেফ রাজনীতি করার জন্য। আপনারা ভোটে হেরে প্রতিহিংসার রাজনীতি করছেন।

তৃণমূল নেত্রী আরও বলেন, প্রাইম মিনিস্টার স্যার, আপনার দুটো পা ধরলে যদি আপনি খুশি হন, আমি বাংলার জন্য তা-ও করতে পারি। রাজনৈতিক প্রতিহিংসা থেকে এমন নোংরা কৌশল নিয়েন না। পশ্চিমবঙ্গে ঘূর্ণিঝড়ে বিধ্বস্ত মানুষ ও করোনায় আমাদের কাজ করতে সুযোগ দিন।

মোদির সঙ্গে বৈঠকের আগে দীর্ঘক্ষণ তাকে অপেক্ষা করানো হয় বলেও অভিযোগ তুলেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে ১ মিনিট দেখা করতে চেয়েছিলাম। তিন বার আবেদন করার পর সুযোগ পাই। ১ ঘণ্টা অপেক্ষা করতে বলা হয়। মুখ্যসচিবকে নিয়ে বৈঠকে ঢুকি। রাজ্যের ক্ষয়ক্ষতির রিপোর্ট দেই। রাতেই মুখ্যসচিবকে বদলির চিঠি। সূত্র: ইন্ডিয়া টুডে, আনন্দবাজার পত্রিকা