বাংলাদেশে ১০ লাখ ডোজ রফতানির অনুমোদন পেলো সেরাম

বাংলাদেশে ১০ লাখ ডোজ কোভিশিল্ড টিকা রফতানির জন্য সেরাম ইন্সটিটিউট অব ইন্ডিয়াকে অনুমোদন দিয়েছে ভারত সরকার। বৃহস্পতিবার ভারতীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় সূত্র এই তথ্য নিশ্চিত করেছে। বাংলাদেশের সঙ্গে নেপাল ও মিয়ানমারেও দশ লাখ ডোজ করে রফতানি করবে সেরাম। ভারতের বার্তা সংস্থা পিটিআই এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানিয়েছে।

খবরে বলা হয়েছে, ভারত বায়োটেক 'ভ্যাকসিন মৈত্রী' প্রকল্পের অধীনে ইরানে কোভ্যাক্সিনের ১০ লাখ ডোজ পাঠাবে। চলতি মাসেই এই দুই ভ্যাকসিন প্রস্তুতকারী সংস্থা টিকা রফতানি শুরু করবে।

ভারতের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের এক সিনিয়র কর্মকর্তা বলেন, অক্টোবরে ভ্যাকসিন মৈত্রীর অধীনে ভার বায়োটেকের কোভ্যাক্সিনের ১০ লাখ ডোজ ইরানে রফতানি করা হবে। মিয়ানমার, নেপাল ও বাংলাদেশে দশ লাখ করে ডোজ রফতানি করবে সেরাম।

তিনি আরও জানান, যুক্তরাজ্যের অ্যাস্ট্রাজেনেকাকে প্রায় ৩ কোটি ডোজ কোভিশিল্ড সরবরাহের অনুমতি দেওয়া হয়েছে।

বাংলাদেশের বেক্সিমকো ফার্মা’র সঙ্গে কোভিশিল্ড বিক্রির চুক্তি করেছিল সেরাম। কিন্তু ভারতে মার্চ-এপ্রিল-মে মাসে করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের প্রকোপ বাড়লে ভারত টিকা রফতানি বন্ধ করে।

ভারত বায়োটেক প্রতি মাসে ৩ কোটি টিকা উৎপাদন করছে। আগামীতে তারা প্রতি মাসে ৫ কোটি করে টিকা উৎপাদন করতে সক্ষম হতে পারে। সেরামও সম্প্রতি কোভিশিল্ড উৎপাদন বাড়িয়েছে। বর্তমানে মাসে ২০ কোটির বেশি ডোজ উৎপাদন করছে সংস্থাটি। অক্টোবরে সেই উৎপাদন বেড়ে ২২ কোটি ডোজ হবে বলে জানিয়েছে তারা। আগামী ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে তারা ৬৬ কোটি টিকার ডোজ উৎপাদন করার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে।