‘মেঘালয়ে তৃণমূলের পতাকা ছেয়ে যাবে’

‘মেঘালয় তৃণমূলের পতাকায় ছেয়ে যাবে।’ তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দিয়ে এমন হুঙ্কার দিলেন মেঘালয়ে কংগ্রেসের সাবেক মুখ্যমন্ত্রী মুকুল সাংমা। মঙ্গলবার কলকাতায় সাংবাদিক সম্মেলন করে জানিয়েছেন, ‘মোদিকে ঠেকাতেই তিনি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাত ধরেছেন।’

উত্তর-পূর্বের রাজ্য মেঘালয়ের বিরোধী দলনেতা মুকুল সাংমা সোমবার ১১ জন কংগ্রেস বিধায়কসহ তৃণমূলে যোগদান করেন। তার এই যোগদানে ওই রাজ্যে কংগ্রেস বিরোধী দলের মর্যাদা হারিয়েছে। সেখানে এখন প্রধান বিরোধী দলের মর্যাদা পেয়েছে তৃণমূল।

মেঘালয়ে তৃণমূলের সংগঠন তৈরির কাজও শুরু হয়েছে। মেঘালয়ে তৃণমূল কংগ্রসের সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে চার্লস পিংগ্রোপকে। তৃণমূলের তরফে বিরোধী দলনেতা হয়েছেন মুকুল সাংমা।

এদিন সাংবাদিক সম্মেলন করে মুকুল সাংমা বলেন, ‘কংগ্রেস কোনও আশার আলো দেখাতে পারছে না। শুধু মেঘালয় নয়, দেশজুড়েই তাদের কর্মীরা হতাশ। ২০১৮ সালের মেঘালয়ের বিধানসভা নির্বাচনে আমরা আত্মবিশ্বাসী ছিলাম যে, আমরাই সরকারে আসবো। কিন্তু কোনও কারণে নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা না পেলেও ভোটের ফলে সর্ববৃহৎ দল হিসেবে আমরাই আত্মপ্রকাশ করি। কিন্তু তার পর কোন পদ্ধতিতে মেঘালয়ে সরকার গঠন হয়েছিল তা আপনারা সবাই জানেন। গণতন্ত্রে বিরোধী দলের ভূমিকা অপরিসীম। জনবিরোধী কাজকে বাধা দেওয়া ও সরকারের ভুলগুলো তুলে ধরাই বিরোধী দলের প্রধান দায়িত্ব। আমরা সেই দায়িত্ব পালনের চেষ্টা করে গেছি। কিন্তু বলতে বাধ্য হচ্ছি, আমরা সঠিকভাবে বিরোধী দলের নীতি পালন করতে পারিনি। দলীয় নীতি মেনে চলতে গিয়ে জনস্বার্থের সঙ্গে আপোস করতে হয়েছে। কংগ্রেস কর্মীদের কথা ভেবেই আমরা তৃণমূলে যোগ দিলাম।’

মুকল সাংমা বলেন, ‘বাংলার পাশাপাশি শিলংয়েও ফুটবে জোড়া ফুল। আগামী ৩৫ থেকে ৪০ দিনের মধ্যে গোটা রাজ্য তৃণমূলের পতাকায় ছেয়ে যাবে। দেখতে থাকুন। আমরা, দেশের মানুষরা কি সত্যিই ন্যায়বিচার পাচ্ছি? মানুষের বিশ্বাস, ভরসা কিন্তু আমাদের ওপরেই থাকে। সে আমরা যেখানেই থাকি। শাসক বা বিরোধী। মমতা বন্দোপাধ্যায় আমাদের ন্যায়বিচার দেবেন।’