মোদি সরকারের বিরুদ্ধে ইন্দিরা গান্ধীকে উপেক্ষার অভিযোগ কংগ্রেসের

ভারতে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপনের অনুষ্ঠান নিয়ে নরেন্দ্র মোদির সরকারের তীব্র সমালোচনা করেছে দেশটির বিরোধী দল কংগ্রেস। দলটির সাধারণ সম্পাদক প্রিয়াঙ্কা গান্ধীর অভিযোগ এই অনুষ্ঠানে সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীকে উপেক্ষা করা হয়েছে। ক্ষমতাসীন দল বিজেপিকে নারীবিদ্বেষী আখ্যা দিয়েছেন তিনি।

বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও ১৯৭১ সালের যুদ্ধের সুবর্ণজয়ন্তী পালন করেছে ভারত। ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং জাতীয় যুদ্ধ স্মারকে দিনটি পালন করেন। ভারতের বিরোধী দল কংগ্রেস আলাদা অনুষ্ঠান আয়োজনে দিনটি উদযাপন করে।

১৯৭১ সালে ভারতীয় সেনাবাহিনী ও বাংলাদেশের মুক্তিবাহিনীর কাছে যখন পাকিস্তানি সেনাবাহিনী আত্মসমর্পণ করে তখন ভারতের প্রধানমন্ত্রী ছিলেন ইন্দিরা গান্ধী। দেশটির প্রথম ও একমাত্র নারী প্রধানমন্ত্রী তিনি। সেই বিজয়ের ৫০তম বার্ষিকী উদযাপনের অনুষ্ঠানে নরেন্দ্র মোদীর বিজেপি-এনডিএ সরকার ইন্দিরাকে উপেক্ষা করেছেন বলে অভিযোগ তোলেন প্রিয়াঙ্কা গান্ধী।

এক টুইট বার্তায় কংগ্রেস নেতা প্রিয়াঙ্কা গান্ধী লেখেন, ‘নারীবিদ্বেষী বিজেপি সরকারের বিজয় দিবস উদযাপন থেকে আমাদের প্রথম ও দেশের একমাত্র নারী প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীকে বাদ দেওয়া হয়েছে। যেদিন তিনি ভারতকে জয়ের নেতৃত্ব দিয়ে বাংলাদেশকে মুক্ত করেছিলেন, তার ৫০ বছর পূর্তির দিনেই এটা হচ্ছে! নরেন্দ্র মোদি, আপনার নরম নরম কথা নারীরা বিশ্বাস করে না। আপনার পিঠ চাপড়ানো মানসিকতা গ্রহণযোগ্য নয়। সময় হয়েছে, নারীদের পাওনাটুকু দিন।’

টুইট বার্তার সঙ্গে প্রিয়াঙ্কা চারটি সাদা কালো ছবি পোস্ট করেছেন। একটিতে দেখা যাচ্ছে, ইন্দিরা এক আহত সেনা সদস্যকে দেখছেন, আরেকটিতে সশস্ত্র বাহিনীর অফিসারদের বৈঠক করছেন।

এদিকে এক সংবাদ সম্মেলনে ভারতের রাজ্যসভার বিরোধী দলীয় নেতা মল্লিকার্জুন খার্গে বলেন, বাংলাদেশ ইন্দিরা গান্ধীর ভূমিকা স্বীকার করে নিয়েছে কিন্তু মোদি সরকার তার অবদানকে উপেক্ষা করেছে। তিনি বলেন, ‘সরকার বিজয় দিবস উদযাপন করছে এবং ভাষণ দিচ্ছে কিন্তু তাদের আরও বলা উচিত ছিলো কোন নেতা এবং সরকার বাংলাদেশকে স্বাধীন করার বিজয় অর্জন করেছে।’

সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিজেপি নেতা প্রয়াত অটল বিহারী বাজপেয়ীকে স্মরণ করে মল্লিকার্জুন খার্গে বলেন, বাজপেয়ী এই বিজয়কে ব্যাখ্যা করতে গিয়ে ইন্দিরা গান্ধীকে ‘দেবী দুর্গার’ সঙ্গে তুলনা করেছিলেন। তিনি বলেন, ‘আমাদের প্রধানমন্ত্রী এতো দুর্বল ও নিরাপত্তাহীন যে তিনি সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীর নামও নেননি, এমনকি কংগ্রেসের ভূমিকার কথাও স্বীকার করেননি।’