পশ্চিমবঙ্গের রামপুরহাট হত্যাকাণ্ডে সিবিআই তদন্তের নির্দেশ আদালতের

পশ্চিমবঙ্গের বীরভূমের রামপুরহাট বগটুইতে যে ঘটনা ঘটেছে, তাতে রাজ্য পুলিশের ওপর আর ভরসা করা যায় না। এ কথা জানিয়ে শুক্রবার বগটুই মামলায় সিবিআইকে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন কলকাতা হাইকোর্ট। বৃহস্পতিবারই শেষ হয় এই মামলার শুনানি।

রায় ঘোষণা স্থগিত রেখেছিলেন প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তবের ডিভিশন বেঞ্চ। সেই মামলায় সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে আদালত। মাত্র দুই দিনের শুনানির পরই সিবিআই তদন্তের পক্ষে রায় দিলো ডিভিশন বেঞ্চ। এদিন আদালত জানিয়েছেন, বগটুই হত্যাকাণ্ড সমাজে যেভাবে প্রভাব ফেলেছে তাতে রাজ্যের তদন্তকারীদের ওপর আর ভরসা করা যায় না।

আদালত বলেছেন, বিচার ও সমাজে প্রতি ন্যায়ের কারণে স্বচ্ছ তদন্ত করে সত্য সামনে আনা জরুরি। সেই প্রয়োজনের কথা মাথায় রেখে এই মামলা সিবিআইয়ের হাতে তুলে দিতে চায় আদালত। সেই মোতাবেক রাজ্য সরকারকে নির্দেশ দেওয়া হচ্ছে, যত তাড়াতাড়ি সম্ভব মামলাটি সিবিআইয়ের হাতে তারা তুলে দিতে। মামলায় রাজ্যের গঠিত সিট কোনও তদন্ত করতে পারবে না। তবে সিবিআইকে সহযোগিতা করতে হবে রাজ্যকে, এমনটাই জানান আদালত।

মামলাকারীরা সিটের দায়িত্বে থাকা আধিকারিকদের নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন। জ্ঞানবন্ত সিং-কে দায়িত্ব দেওয়ার বিষয়টাতে প্রশ্ন তুলেছিলেন তারা। এবার আদালতও জানিয়েছেন, রাজ্য পুলিশের ওপর আর ভরসা করা যাবে না। আগামী ৭ এপ্রিলের মধ্যে সিবিআই-কে রিপোর্ট জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এর আগে নন্দীগ্রামের ঘটনাতেও কয়েকদিন পরই সিবিআইয়ের হাতে তদন্তভার তুলে দেওয়া হয়।

হাইকোর্টের নির্দেশের পর রাজ্য পুলিশের সিটের সঙ্গে কথা বলেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআইয়ের কর্মকর্তারা। রামপুরহাটের বগটুই গ্রামের যে নৃশংসতা ঘটেছে, তাতে কার্যত মুখ পুড়েছে রাজ্যের। বিজেপি শুরু থেকেই ঘটনায় সিবিআই তদন্তের দাবি জানিয়ে আসছিল। শেষে শুক্রবার হাইকোর্ট রামপুরহাট হত্যাকাণ্ডে সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিলেন।

জানা গেছে, এফআইআর কপি হাতে পাওয়ার পর সিবিআই নিজেদের তদন্তকারী দল গঠন করবে। তারপর যত দ্রুত সম্ভব সেই তদন্তকারী দল রামপুরহাটের বগটুই গ্রামে পাঠাবে সিবিআই। আগামীকাল শনিবার (২৬ মার্চ) সিবিআইয়ের তদন্তকারী দল যেতে পারে বগটুই গ্রামে।