যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের সঙ্গে বাংলাদেশের ৮বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিনিধির সাক্ষাৎ 

পশ্চিমবঙ্গের কলকাতার যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. সুরঞ্জন দাসের সঙ্গে বৃহস্পতিবার সৌজন্য সাক্ষাৎ ও বৈঠক করলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ বাংলাদেশের ৮টি বিশ্ববিদ্যালয়ের রিসার্চ সোসাইটির প্রতিনিধি দল। বাংলাদেশি প্রতিনিধি দলের মধ্যে ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়, বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব প্রফেশনালস, নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়, বরিশাল ও জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের রিসার্চ সোসাইটির ২৩ জনের প্রতিনিধি দল।

বৃহস্পতিবার দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের মিটিং রুমে সেমিনারে উপস্থিত ছিলেন যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের জয়েন্ট রেজিস্ট্রার ড. সঞ্জয় গোপাল সরকার, কলকাতাস্থ বাংলাদেশ উপ-হাইকমিশনের শিক্ষা ও ক্রীড়া বিভাগের কাউন্সেলর রিয়াজুল ইসলাম, পূর্ব ভারতীয় আইসিসিআর-এর পরিচালক মিনাক্ষী মিশ্রা, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ফ্যাকাল্টি অব আর্টস, ইঞ্জিনিয়ারিং, সায়েন্স এবং আইএসএলএম-এর ডিনরা উপস্থিত ছিলেন। 

এসময় উপাচার্য বাংলাদেশ দলকে স্বাগত জানিয়ে বলেন, ভারতবর্ষে উচ্চশিক্ষা প্রসারে কলকাতার এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূমিকা অনবদ্য।

বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক জোরদারের ক্ষেত্রে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় গবেষণা সংসদের এই উদ্যোগের ভূয়সী প্রশংসা করে তিনি বলেন, বাংলাদেশের শিক্ষার্থীরা যেরকম উদ্যোগ নিয়ে এখানে এসেছে এটি অনেক উৎসাহের বিষয়। তারা যে স্নাতক শিক্ষার্থীদের গবেষণায় উদ্বুদ্ধ করতে কাজ করছে তা থেকে আমাদেরও শেখার আছে। আমাদের দুই দেশের সম্পর্কের মধ্যকার গভীরতাকে আরও শক্তিশালী করতে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে সার্বিক সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে। 

কলকাতাস্থ বাংলাদেশ উপ-হাইকমিশনের শিক্ষা ও ক্রীড়া বিভাগের কাউন্সেলর রিয়াজুল ইসলাম বাংলাদেশি প্রতিনিধিদলকে স্বাগত জানান। তিনি বাংলাদেশি প্রতিনিধিদলের পরিদর্শনকালীন প্রয়োজনীয় সহযোগিতা ও সমন্বয়ের জন্য যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়সহ পশ্চিমবঙ্গের অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয় ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে ধন্যবাদ জানান।

এসময় তিনি বাংলাদেশি বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীদের মধ্যে ‘স্টুডেন্টস একচেঞ্জ প্রোগ্রাম’-এর আওতায় ক্রেডিট ট্রান্সফারের মাধ্যমে কোনও একটি সেমিস্টার/কোর্স সম্পন্ন করে দেশে ফিরে গিয়ে পরবর্তী সেমিস্টারে অংশগ্রহণ করতে পারে- এই সংক্রান্ত একটি প্রস্তাব উপস্থাপন করলে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. সুরঞ্জন দাস এ বিষয়ে নীতিগতভাবে সম্মত হন। পরবর্তীতে সংশ্লিষ্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে সমঝোতা স্মারক প্রণয়ন পূর্বক এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় কার্যক্রম গ্রহণ করা হবে।  

তিনি আরও জানান, বাংলাদেশের স্বাধীনতার সূবর্ণ জয়ন্তী এবং জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উদযাপনের অংশ হিসেবে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘বঙ্গবন্ধু চেয়ার’-এর অনুমোদন চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে এবং খুব শিগগিরই এটি বস্তবায়ন হবে।   

এসময় মিণাক্ষী মিশ্রা বাংলাদেশ দলকে শুভেচ্ছা জানান এবং বাংলাদেশ থেকে কী পরিমাণ শিক্ষার্থী ভারতে স্কলারশিপ নিয়ে আসেন সে তথ্য তুলে ধরেন। ভবিষ্যতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় যদি যাদবপুরসহ ভারতের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর সঙ্গে এ ধরনের আরও উদ্যোগে সমন্বয় করতে চায় তবে আইসিসিআর-এর পক্ষ থেকে সার্বিক সহযোগিতার আশ্বাস দেন তিনি।

প্রসঙ্গত, ঢাকা ইউনিভার্সিটি রিসার্চ সোসাইটির নেতৃত্বে বাংলাদেশের আরও ৭টি ইউনিভার্সিটি রিসার্চ সোসাইটির ২৩ জন সদস্য গত ৮ সেপ্টেম্বর থেকে পশ্চিমবঙ্গের আন্তর্জাতিক গবেষণা সম্মেলনসহ প্রেসিডেন্সি ইউনিভার্সিটি, কলকাতা ইউনিভার্সিটি, হীরালাল মজুমদার কলেজ ফর উইমেন্স-এ সেমিনার ও স্টুডেন্ট একচেঞ্জ প্রোগ্রামে অংশগ্রহণ করছেন। এরই ধারাবাহিকতায় বৃহস্পতিবার যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে ছিল তাদের প্রোগ্রাম। একই দিন বিকালে সেমিনার রয়েছে নেতাজিনগর কলেজে এবং ১৭ সেপ্টেম্বর তারা অংশ নিবেন পাটুলি লাইব্রেরির উদ্যোগে অনুষ্ঠিত শিক্ষা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে।