পশ্চিমবঙ্গে কংগ্রেস, সিপিআই-এম ইন্ডিয়া জোট নয়, বিজেপির এজেন্ট: মমতা

পশ্চিবঙ্গে কংগ্রেস ও ভারতের কমিউনিস্ট পার্টি (মার্কসবাদী) সিপিআই-এম বাংলায় ইন্ডিয়া জোটের সদস্য নয়, তারা বিজেপি-র এজেন্ট। শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) লোকসভা নির্বাচনের প্রথম ধাপের ভোট গ্রহণের সময় এমন আক্রমণাত্মক মন্তব্য করেছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস এ খবর জানিয়েছে।

মুর্শিদাবাদে এক সমাবেশে তার জোটের দল কংগ্রেস ও সিপিআই-এম-কে আক্রমণ করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, কংগ্রেস ও সিপিআই(এম)-কে সমর্থন করবেন না। তারা ভারতীয় জনতা পার্টি (বিজেপি)-র এজেন্ট। এরা পশ্চিমবঙ্গে ইন্ডিয়া জোটের সদস্য নয়।

সমাবেশে তিনি আরও বলেন, নির্বাচনের জরিপ সবই ভুয়া। বিজেপি ২০০ আসনের বেশি পাবে না। কিন্তু অনেকেই বলছেন, আমরা ইন্ডিয়া জোটের সদস্য। আমাদেরকে ভোট দিন।

এদিকে, মমতা বলছেন, বাংলায় কোনও জোট নেই। ওটা দিল্লিতে আছে। এখানে কংগ্রেস ও সিপিআই-এম ইন্ডিয়া জোটের কেউ না। তারা বিজেপির এজেন্ট। তাই তাদেরকে ভোট দেবেন না।

তিনি আরও বলেন, তাদেরকে একটি ভোট দেওয়া মানে বিজেপিকে দুইটি ভোট দেওয়া। তাদেরকে কোনও ভোট দেবেন না। আমরা আগামীতে বিরোধী জোট ইন্ডিয়াকে নেতৃত্ব দেবো।

সর্বভারতীয় তৃণমূল কংগ্রেস (টিএমসি), কংগ্রেস ও সিপিআই-এম বিরোধী ইন্ডিয়া জোটের অংশ। কিন্তু পশ্চিমবঙ্গে লোকসভা নির্বাচনে মমতা একাই প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। যদিও আগেই সিপিআই-এম বলেছিল, টিএমসি ও কংগ্রেসের বিরুদ্ধে লড়বে। কিন্তু আলোচনা ব্যর্থ হওয়ার পর সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করেছে দলটি।

সাগরদিঘিতে গত বছর উপনির্বাচনে টিএমসিকে পরাজিত করেছিল সিপিআই-এম-কংগ্রেস। কংগ্রেসের রাজ্য সভাপতি অধীর রঞ্জন চৌধুরী ও সিপিআই-এম রাজ্য সম্পাদক মো. সেলিমও যথাক্রমে বেরহামপুর ও মুর্শিদাবাদ লোকসভা কেন্দ্র থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।

বিজেপি ও ভারতের নির্বাচন কমিশনের (ইসিআই) সমালোচনাও করেছেন মমতা। বিজেপি ২০০ আসনও পাবে না। সব জরিপ ভুয়া। জরিপে লাখ লাখ টাকা ঢেলে দেওয়া হয়েছে।

প্রথম ধাপের ভোটের সময় ইসিআই-এর ভূমিকা নিয়েও মন্তব্য করেছেন মমতা। ‘যে বিয়ে করছেন সেও বিয়ের পুরোহিত, আমি এই প্রথম দেখছি’। মমতা প্রশ্ন করেন, রাজ্য পুলিশ ছাড়া শুধু কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে ভোট দিচ্ছেন কীভাবে? যাতে মানুষ ভোট দিতে না পারে?

পশ্চিমবঙ্গের লোকসভা নির্বাচন ১৯ এপ্রিল থেকে ১ জুন পর্যন্ত সাতটি ধাপে অনুষ্ঠিত হবে। শুক্রবার তিনটি আসন, কোচবিহার, আলিপুরদুয়ার ও জলপাইগুড়িতে ভোটগ্রহণ হয়েছে।