আবের সন্দেহভাজন খুনি সম্পর্কে যা জানা গেলো

জাপানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবের ওপর গুলি চালানোর পর পালানোর চেষ্টা করেনি সন্দেহভাজন হামলাকারী। নিরাপত্তা কর্মীরা সঙ্গে সঙ্গে তাকে আটক এবং তার অস্ত্র জব্দ করে। খবর পাওয়া যাচ্ছে অস্ত্রটি বাড়িতে তৈরি।

সন্দেহভাজন হামলাকারী নারার বাসিন্দা। তার নাম তেতসুয়া ইয়ামাগামি। স্থানীয় সংবাদমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, ধারণা করা হচ্ছে সে জাপানের মেরিটাইম সেলফ-ডিফেন্স ফোর্সের সাবেক সদস্য। জাপানে এই বাহিনীটি নৌবাহিনীর সমমানের। তবে ২০০৫ সালে সক্রিয় চাকরি ছেড়ে দেয় সে।

হামলাকারীর উদ্দেশ্য নিয়ে এখনও কোনও মন্তব্য করেননি কর্মকর্তারা। তবে স্থানীয় সংবাদমাধ্যমগুলো বলছে, ইয়ামাগামি পুলিশকে বলেছে ‘সে সাবেক প্রধানমন্ত্রী আবের প্রতি অসন্তুষ্ট ছিল এবং তাকে হত্যা করতে চেয়েছিল’।

তবে সাবেক প্রধানমন্ত্রীর রাজনৈতিক দর্শনের প্রতি কোনও ক্ষোভ ছিল না বলেও পুলিশকে জানিয়েছে ইয়ামাগামি।

পুলিশ তার বাড়িতে তল্লাশি চালিয়েছে। সেখানে বেশ কয়েকটি সম্ভাব্য বিস্ফোরক পাওয়া গেছে। জাপানি সম্প্রচারমাধ্যম এনএইচকে জানিয়েছে, বোমা নিষ্ক্রিয়কারী দল সেগুলো নিরাপদে বিস্ফোরণ ঘটানোর প্রস্তুতি নিচ্ছে। এছাড়া বেশ কয়েকটি হাতে তৈরি অস্ত্র পাওয়া গেছে। হামলায় ব্যবহৃত অস্ত্রের মতোই এগুলো। পুলিশ এসব অস্ত্র জব্দ করেছে।

জাপানের সব মন্ত্রীদের অবিলম্বে টোকিওতে ফেরার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে স্থানীয় সংবাদমাধ্যম। জাপানের সোশাল মিডিয়ায় ‘গণতন্ত্র চাই, সহিংসতা নয়’ হ্যাশট্যাগ ট্রেন্ডিং হয়ে উঠেছে। অনেক ব্যবহারকারী এই ঘটনায় তাদের বিরক্তি ও ক্ষোভ প্রকাশ করছেন।

পুলিশ জানিয়েছে, ইয়ামাগামি আবের ভাষণস্থলে ট্রেনে ভ্রমণ করে পৌঁছায়। কিন্তু কর্মকর্তারা এটা জানাননি সে ভাষণ শুরুর আগ মুহূর্তে পৌঁছায় কিনা। ঘটনাস্থলে কোনও গুলি পাওয়া গেছে কিনা তাও জানায়নি। তারা জানিয়েছে, তদন্ত চলছে।