মিয়ানমারের উপকূলীয় মংডু শহরে শক্তিশালী জাতিগত সশস্ত্র গোষ্ঠী আরাকান আর্মির সঙ্গে জান্তা সেনাদের লড়াইয়ে ৭০ হাজার রোহিঙ্গা আটকা পড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। কেননা, বাংলাদেশের সীমান্তের কাছে উপকূলীয় এই শহরে জান্তাদের অবস্থানে হামলার ঘোষণা দিয়েছে জাতিগত এই গোষ্ঠীটি। এক বিবৃতিতে, রবিবার (১৬ জুন) সন্ধ্যায় বেসামরিকদের শহর ছেড়ে অন্যত্র চলে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছে তারা। তবে মিয়ানমার রোহিঙ্গাদের অস্তিত্বকে অস্বীকার করায় তাদের অন্য কোথাও যাওয়ার জায়গা নেই। ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স এই খবর জানিয়েছে।
মিয়ানমারের রাখাইন অঞ্চলে স্বায়ত্তশাসনের জন্য লড়াই করছে আরাকান আর্মি। রবিবারের ওই বিবৃতিতে বলা হয়েছে, জান্তাদের ওপর একটি পরিকল্পিত আক্রমণ শুরু করার আগেই মংডু শহরের বাসিন্দাদের রাত ৯টার মধ্যে শহর ছাড়তে হবে। শহরটি প্রাথমিকভাবে রোহিঙ্গা অধ্যুষিত।
বিবৃতিটিতে আরও বলা হয়, ‘নিরাপত্তা বিবেচনায় মংডুর বাসিন্দাদের ইউনাইটেড লীগ অব আরাকান/আরাকান আর্মি অবিলম্বে সরে যাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছে।’
মিয়ানমারের জান্তার বিরুদ্ধে মাসব্যাপী হামলা চালিয়েছে আরাকান আর্মি। ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারিতে একটি অভ্যুত্থানের মাধ্যমে ক্ষমতা দখল করেছিল জান্তা। বর্তমানে দেশটির অধিকাংশ অংশে ক্রমবর্ধমানভাবে দুর্বল হয়ে পড়েছে তারা।
হামলার বিষয়ে জান্তা ও আরাকান আর্মির মুখপাত্রের কাছে মন্তব্যের অনুরোধ জানিয়ে কোনও সাড়া পায়নি রয়টার্স।
মিয়ানমার শ্যাডো ন্যাশনাল ইউনিটি গভর্নমেন্ট এর উপ-মানবাধিকার মন্ত্রী অং কিয়াও মো বলেছেন, প্রায় ৭০ হাজার রোহিঙ্গা বর্তমানে মংডুতে অবস্থান করছে। যুদ্ধ ঘনিয়ে আসার সঙ্গে সঙ্গে তাদের আটকা পড়ার ঝুঁকি বেড়ে যাচ্ছে।
রয়টার্সকে তিনি বলেন, ‘তাদের পালিয়ে যাওয়ার কোনও জায়গা নেই।’