ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক করবে আরও ৫ আরব দেশ: ট্রাম্প

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প জানিয়েছেন, সংযুক্ত আরব আমিরাত ও বাহরাইনের পর এবার ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক করতে যাচ্ছে সুদান। অন্তত আরও পাঁচটি আরব দেশ ইসরায়েলের সঙ্গে শান্তিচুক্তি করবে। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি এখবর জানিয়েছে।

_115053102_d15276e8-467b-4dd5-b6a9-73044e0d80ce

খবরে বলা হয়েছে, শুক্রবার যুক্তরাষ্ট্রের উদ্যোগে ইসরায়েল ও সুদান সম্পর্ক স্বাভাবিক করতে শান্তিচুক্তি স্বাক্ষরে রাজি হয়েছে। ট্রাম্প ফোনালাপে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু ও সুদানের প্রধানমন্ত্রী আবদাল্লা হামদকের সঙ্গে কথা বলে বিষয়টি চূড়ান্ত করেছেন।

পরে হোয়াইট হাউস থেকে ট্রাম্প জানান, ইসরায়েল ও সুদান শান্তি স্থাপন করতে রাজি হয়েছে। উভয় দেশের জন্য এ এক অভাবনীয় চুক্তি।

ইসরায়েলের সঙ্গে আমিরাত ও বাহরাইন সম্পর্ক স্বাভাবিক করার ঘোষণা দেওয়ার কয়েক সপ্তাহ পর একই পথ ধরে হাঁটল সুদান। ২৬ বছরের মধ্যে প্রথমবারের মতো মধ্যপ্রাচ্যের উপসাগরীয় আরব হিসেবে আমিরাতের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক করে আমিরাত ও বাহরাইন।

সুদান, ইসরায়েল ও যুক্তরাষ্ট্রের ত্রিপক্ষীয় এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, আগামী কয়েক সপ্তাহের মধ্যে তাদের প্রতিনিধিরা বৈঠক করবেন। সেখানে কৃষি, বিমান চলাচল ও অভিবাসন নিয়ে আলোচনা হবে।

বিবৃতিতে বৈঠকের কোনও নির্দিষ্ট তারিখ জানানো হয়নি। এতে বলা হয়েছে, নেতৃবৃন্দরা সুদান ও ইসরায়েলের মধ্যে সম্পর্ক স্বাভাবিক করতে সম্মত হয়েছেন।

ইসরায়েলের সঙ্গে ১৯৯৪ সালে জর্ডান, ১৯৭৯ সালে মিসর শান্তিচুক্তি স্বাক্ষর করেছে। আফ্রিকার আরব লিগ সদস্য মৌরিতানিয়া ২০০৯ সালে ইসরায়েলকে স্বীকৃতি দিলেও ১০ বছর পর তা বাতিল করে। আরব দেশগুলোর পক্ষ থেকে ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিকীকরণের নিন্দা জানিয়ে আসছে ফিলিস্তিন।

যুক্তরাষ্ট্রের সন্ত্রাসবাদী রাষ্ট্রের তালিকা থেকে সুদানের নাম বাদ দেওয়ার আনুষ্ঠানিক ঘোষণার কিছুক্ষণ পর ওয়াশিংটনে হোয়াইট হাউসের সাংবাদিকদের ওভাল অফিসে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে সুদান ও ইসরায়েলের নেতাদের সঙ্গে ফোনে কথা বলছিলেন ট্রাম্প।  

ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, এই চুক্তি শান্তির জন্য নাটকীয় অগ্রগতি এবং নতুন যুগের সূচনা।

সুদানের প্রধানমন্ত্রী সন্ত্রাসবাদী রাষ্ট্রের তালিকা থেকে বাদ দেওয়ার জন্য ট্রাম্পকে ধন্যবাদ জানান।

ফোনালাপে ট্রাম্প আরও জানিয়েছেন, তিনি প্রত্যাশা করছেন সৌদি আরবও ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক করবে।