ইরানের নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্টকে ‘তেহরানের কসাই’ বললো ইসরায়েল

ইরানের নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রায়িসির সমালোচনা করেছে ইসরায়েল। শনিবার রায়িসিকে বিজয়ী ঘোষণা করার পর ইসরায়েলি পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইয়ার লাপিদ বলন, ‘তেহরানের কসাই’ বলে পরিচিত ইরানের নতুন প্রেসিডেন্ট কয়েক হাজার ইরানির মৃত্যুর জন্য দায়ী একজন চরমপন্থী। তিনি দেশটির পারমাণবিক অস্ত্র অর্জন ও বিশ্বজুড়ে সন্ত্রাসের প্রতি অঙ্গীকারবদ্ধ। ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স এখবর জানিয়েছে।

ইরানের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার আগ পর্যন্ত ইব্রাহিম রায়িসি ২০১৯ সাল থেকে দেশটির বিচার বিভাগের প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন। অতি রক্ষণশীল রায়িসি-র ওপর যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা রয়েছে।  ১৯৮০-এর দশকে রাজনৈতিক বন্দিদের যেভাবে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছে তাতে তার ভূমিকা নিয়ে বহু ইরানি এবং মানবাধিকার কর্মী উদ্বেগ জানিয়েছিলেন। ইরান কখনও ওই গণমৃত্যুদণ্ডের কথা স্বীকার করেনি। এতে রায়িসি-র ভূমিকা নিয়ে যেসব অভিযোগ উঠেছে, সে বিষয়ে তিনি কখনও কোনও মন্তব্য করেননি। প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব গ্রহণের পর তিনি হবেন ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনির পর দেশটির দ্বিতীয় ক্ষমতাধর ব্যক্তি। 

ইসরায়েলের পররাষ্ট্র মন্ত্রণলায় পৃথক একটি বিবৃতিতে বলেছে, রায়িসির নির্বাচিত হওয়া আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের মধ্যে গভীর উদ্বেগের জন্ম দিয়েছে।

গত রবিবার শপথ নেওয়া ইসরায়েলের নতুন সরকার জানিয়েছে, চির প্রতিদ্বন্দ্বী ইরান ও বিশ্বের পরাশক্তির মধ্য স্বাক্ষরিত ২০১৫ সালের পারমাণবিক চুক্তি পুনর্বহালের বিরোধিতা করবে তারা।

পারমাণবিক শক্তিধর ইরানকে হুমকি মনে করে ইসরায়েল। তবে তেহরানের দাবি তারা পারমাণবিক অস্ত্র তৈরি করছে না।

১২ বছর ধরে ক্ষমতায় থাকা বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর নীতি অনুসরণ করে ইসরায়েলর নতুন সরকারের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, অতীতের যে কোনও সময়ের তুলনায় এখন পারমাণবিক কর্মসূচি ইরানের বন্ধ করা উচিত। ইরানের ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র কর্মসূচি অবশ্যই বাতিল হতে হবে এবং দেশটির বিশ্বজুড়ে সন্ত্রাস মোকাবিলায় বৃহত্তর আন্তর্জাতিক জোট প্রয়োজন।

ইরানের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার আগ পর্যন্ত ইব্রাহিম রায়িসি ২০১৯ সাল থেকে দেশটির বিচার বিভাগের প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন। অতি রক্ষণশীল রায়িসি-র ওপর যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা রয়েছে।  ১৯৮০-এর দশকে রাজনৈতিক বন্দিদের যেভাবে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছে তাতে তার ভূমিকা নিয়ে বহু ইরানি এবং মানবাধিকার কর্মী উদ্বেগ জানিয়েছিলেন। ইরান কখনও ওই গণমৃত্যুদণ্ডের কথা স্বীকার করেনি। এতে রায়িসি-র ভূমিকা নিয়ে যেসব অভিযোগ উঠেছে, সে বিষয়ে তিনি কখনও কোনও মন্তব্য করেননি। প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব গ্রহণের পর তিনি হবেন ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনির পর দেশটির দ্বিতীয় ক্ষমতাধর ব্যক্তি।