ইয়েমেনের কারাগারে বিমান হামলায় ২ শতাধিক হতাহতের আশঙ্কা

ইয়েমেনের একটি কারাগারে বিমান হামলায় দুই শতাধিক মানুষ নিহত বা আহতের আশঙ্কা করা হচ্ছে। পৃথক আরেকটি বোমা নিক্ষেপের ঘটনায় অন্তত ৩ শিশু নিহত হয়েছে। দেশটির দীর্ঘদিনের সংঘাত নাটকীয়ভাবে সহিংসতা বৃদ্ধির সময় এই হামলাগুলো হলো। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ান এখবর জানিয়েছে।

শুক্রবার হুথি বিদ্রোহীরা কারাগারে হামলার একটি ভিডিও ফুটেজ প্রকাশ করেছে। উত্তরাঞ্চলীয় প্রাণকেন্দ্র সাদা এলাকায় এই কারাগার অবস্থিত। ভিডিওতে দেখা গেছে, ধ্বংসস্তূপে মরদেহ পড়ে রয়েছে। বিমান হামলায় কারাগারটি মাটির সঙ্গে মিশে গেছে।

হোদেইদা বন্দরের দক্ষিণ দিকে সৌদি নেতৃত্বাধীন জোট একটি টেলিযোগাযোগ স্থাপনায় বিমান হামলা চালালে তিন শিশুর মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছে সেভ দ্য চিলড্রেন।

ইয়েমেনে সৌদি নেতৃত্বাধীন জোটের হামলায় ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ রয়েছে।

সংযুক্ত আরব আমিরাতের আবু ধাবিতে হুথি বিদ্রোহীদের ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালানোর দাবি করার পাঁচ দিনের মাথায় এই দুটি বিমান হামলা চালানো হলো। আবুধাবিতে হামলা চালিয়ে সাত বছরের যুদ্ধকে নতুন মোড় দিয়েছে হুথিরা।

হুথিদের বিরুদ্ধে ইয়েমেনে লড়াইরত সৌদি নেতৃত্বাধীন জোটের সদস্য সংযুক্ত আরব আমিরাত। আবুধাবিতে হামলার পর তারা প্রতিশোধ নেওয়ার অঙ্গীকারের কথা জানিয়েছে।

ইয়েমেনের ইন্টারন্যাশনাল কমিটি ফর দ্য রেড ক্রস-এর মুখপাত্র বশির ওমর বলেন, নিহত ও আহতের সংখ্যা শতাধিক। হয়ত এই সংখ্যা আরও বাড়বে।

অপর সূত্র জানায়, ৬০ জনের মতো নিহত হয়েছে।

ডক্টর্স উইদাউট বর্ডার্সের ইয়েমেন মিশন প্রধান বলেন, বিমান হামলার ঘটনাস্থলে এখনও অনেক মরদেহ আছে, অনেকে নিখোঁজ। নিহতের প্রকৃত সংখ্যা জানা অসম্ভব বিষয়। এটি সহিংসতার একটি নৃশংস ঘটনা।

সৌদি আরবের রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা জানিয়েছে, জোটের পক্ষ থেকে হোদেইদাতে হুথি মিলিশিয়াদের সামর্থ্য ধ্বংসের জন্য সুনির্দিষ্ট বিমান হামলা চালানো হয়েছে।